ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন: আত্মহত্যা নয়, শাহাদাত হত্যার শিকার

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২:৫৯

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঢাকার ধামরাইয়ে গত ১১ আগস্ট রাতে গলায় কাঁচা পাট পেঁচানো ও গাছে ঝুলন্ত ওয়ালটন ইলেকট্রনিকস কারখানার কর্মচারী শাহাদাত হোসেন (২৪) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছিল পুলিশ।

বুধবার (২২সেপ্টেম্বর) সেই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিহত শাহাদাত হোসেন আত্মহত্যা করেননি, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ও তার চোখ দুটি উপড়ানো ছিল।

মামলার এজহারে উল্লেখ আছে, নিহত শাহাদাত ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের আমরাইল গ্রামের কোহিনুর ইসলামের ছেলে। তিনি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বারইপাড়া এলাকার ওয়ালটন কারখানায় কর্মরত ছিলেন।

নিহতের পরিবার বলছে, শাহাদাতের মরদেহ যেদিন উদ্ধার হয়- এর দুইদিন পরেই ১৩ আগস্ট তার বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরের কলমাইত গ্রামের এক মেয়ের সাথে।

এ বিষয়ে নিহতের বাবা কহিনূর হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, আগস্ট মাসের ১ তারিখে আমার ছেলে বাড়ি থেকে তার কর্মস্থল কালিয়াকৈরে যায়। ৪ আগস্ট পর্যন্ত  নিয়মিত মোবাইলে কথা হয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্ট ৫ থেকে মোবাইলে ফোন দিলে আমার ছেলে আর ফোন ধরেনি। পরের দিনও মোবাইলে কল ঢুকছে, কিন্তু ৭ আগস্ট থেকে কল দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আমরা অনেক জায়গায় খুঁজে না পেয়ে জিডি করি। পরে ১১ আগস্ট রাতে বাড়ির পাশের পাট ক্ষেতে ঝুলান্ত লাশ পাওয়া যায়। লাশ পাওয়ার পর আমি ধামরাই থানায় হত্যা মামলা দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশে অপমৃত্যুর মামলা নিছে।

এবিষয়ে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, শাহাদাত হত্যার ঘটনায় আসামি শনাক্ত ও ধরার চেষ্টা চলমান আছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এলএ)