ধারাবাহিক সূচক কমা পেনিনসুলার শেয়ারদরে কারসাজি!

রহমান আজিজ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:১৩ | প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:২৩

২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দ্য পেনিনসুলা চিটাগাং হোটেলের শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৮৭ পয়সা। ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি আয় কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫ পয়সা। গত তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় মাত্র ৪ পয়সা। ২০১৯ সালে নিট মুনাফা ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা হলেও ২০২০ সালের মুনাফা হয়েছে মাত্র ৬৫ লাখ টাকা।

ধারবাহিকভাবে পেনিনসুলা হোটেলের সব সূচক কমলেও শেয়ারটির দর হু হু করে বাড়ছে। গত ৫ মাসে হোটেলটির শেয়ারদর বেড়েছে ৮০ শতাংশ। ব্যবসা মন্দা থাকার পরও শেয়ারদর বাড়ার পিছনে কারসাজি রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে পেনিনসুলার নিট মুনাফা ছিল ৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা; ২০১৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় কোটি ২৩ লাখ টাকা; ২০১৮ সালে বেড়ে ৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা; ২০১৯ সালে আরও বেড়ে ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা হলেও ২০২০ সালে নিট মুনাফা কমে মাত্র ৬৫ লাখ টাকা।

হোটেলটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২০১৬ সালে ছিল ৮৪ পয়সা; ২০১৭ সালে ৫৩ পয়সা; ২০১৮ সালে ৬২ পয়সা; ২০১৯ সালে ৮৭ পয়সা। তবে ২০২০ সালে ইপিএস উল্লেখযোগ্যহারে কমে মাত্র ৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

ব্যবসা মন্দা পেনিনসুলা হোটেলের শেয়ারদর গত ৪ এপ্রিল ছিল ১৭.৫ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৩১.৪ টাকা। অর্থাৎ গত ৫ মাসে পেনিনসুলার শেয়ারদর বেড়েছে ১৩.৯ টাকা বা ৮০ শতাংশ।

আলিমুজ্জামান নামে এক বিনিয়োগকারী ঢাকা টাইমসকে জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন হোটেল ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। ফলে আর্থিক বছর শেষে পেনিনসুলা শেয়ারহোল্ডারদের ভালো মুনাফা দিতে পারবে না। তবু শেয়ারদর বাড়ার পিছনে কারসাজি রয়েছে বলে আমার ধারণা।

শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) বাড়ার কথা থাকলেও পেনিনসুলার কমছে। ২০১৬ সালে হোটেলটির এনএভি ছিল ৩১.১৬ টাকা; ২০১৭ সালে কমে ৩০.৬৮ টাকা; ২০১৮ সালে ৩০.৮১ টাকা; ২০১৯ সালে ৩১.৬৩ টাকা হলেও ২০২০ সালে কমে ৩০.৮৭ টাকা।

প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১১৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০টি।

২০২০ সালের ৩০ জুন হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ রয়েছে ২৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ হোটেলটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের সমন্বিত শেয়ার রয়েছে ৪৫.৯৩ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের রয়েছে ৯.৯০ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ০.১০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রয়েছে ৪৪.০৭ শতাংশ।

ভালো মুনাফা করলেও বিনিয়োগকারীদের ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে লভ্যাংশ দিয়েছে ৭.৫ শতাংশ। তবে ২০২০ সালে অন্যবছরগুলোর তুলনায় খুব খারাপ মুনাফা করলেও শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়েছে ১০ শতাংশ।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/আরএ/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :