নথি জালিয়াতি, আসামি রুবেলের জামিন প্রশ্নে রায় মঙ্গলবার

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া কর্মচারী মো. রুবেলের জামিন কেন দেওয়া হবে না, এমন রুলের শুনানি শেষ করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রায় দেবেন হাইকোর্ট।

রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

পরে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের জানান, গত ১৭ জুন রুবেলের জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি শেষ, রায় ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার। শুনানিতে আদালত রুবেলের দেওয়া ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি দুদককে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদের জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের পুনঃকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠানো হয়। ওই কাগজপত্র প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হলে তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন।

পরে এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতির সময় পর্বে নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে গেলে তিনি ফোনে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলকে জানান যে, এম আবদুস সালাম আজাদ কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অনুমোদন পাননি। এরপর তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলে নথিটি (প্রয়োজনীয় কাগজপত্র) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বের করে ফরহাদ নামে একজনের হাতে তুলে দেন ফাতেমা। সেই নথিতে ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন তরিকুল। একইভাবে অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফের নামের পাশে ক্রস চিহ্ন দিয়ে এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন তিনি। পরে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

ওই নথি (প্রয়োজনীয় কাগজপত্র) হস্তান্তরের আগে ফাতেমা বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন এবং হস্তান্তরের পর আরেক দফায় তার ছেলের বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে গত বছরের ৫ মে এ বিষয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এ মামলার একজন চার্জশিটভুক্ত আসামি মো. রুবেল প্রধানমন্ত্রী কার্যলায়ের ডেসপাস রাইটার। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গায়। তাকে গত বছরের ১৯ মে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নিম্ন আদালতে জামিন খারিজের পর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট ১৭ জুন তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। সেই রুলের রায় ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এআইএম/জেবি)