বিশ্ব পর্যটন দিবসে নানা কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৫৭
ফাইল ছবি

বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ (২৭ সেপ্টেম্বর)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হবে। পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া এ দিবসের লক্ষ্য।

প্রতিবছরের মতো এ বছরও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। বিশ্ব পর্যটন দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন’।

পর্যটন দিবস উপলক্ষে সোমবার দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে পর্যটন করপোরেশন। ভ্রমণপিপাসুদের জন্যে দেশের পর্যটন হোটেল-মোটেলগুলোতে একদিনের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেছে পর্যটন করপোরেশন।

জাতিসংঘের অধীনস্থ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ১৯৮০ সাল থেকে সকল সদস্য দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটনের অবদান রয়েছে।

মহামারির কারণে দীর্ঘদিন পর্যটন স্পট ও এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখতে হয়েছিল। গতবছর এই সময়ে সংক্রমণের হার বেশি থাকায় পর্যটন দিবসের সব কর্মসূচি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আয়োজন করতে হয়েছিল।

বর্তমানে দেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ কমার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ পর্যটকেরা আগ্রহের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ভ্রমণ করার কারণে ধীরে ধীরে দেশের পর্যটন শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এতে গতি ফিরছে দেশের পর্যটন শিল্পে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে স্থানীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে পর্যটনের উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের বৈচিত্রময় পর্যটন আকর্ষণসমুহকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিকট তুলে ধরার প্রয়াসে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। একই সাথে বিশ্ব দরবারে দেশের পর্যটন শিল্পকে কার্যকরভাবে তুলে ধরতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, পর্যটন শিল্প বর্তমান বিশ্বে শ্রমঘন এবং সর্ববৃহৎ শিল্প হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নসহ দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য পর্যটনের গুরুত্ব অবশ্যম্ভাবী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে এই শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আবহমান গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দায়িত্বশীল পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং এর সুফল যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ভোগ করতে পারে সেলক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :