গ্রাহকের টাকা আত্মসাতে দুই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৪০

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পূবালী ব্যাংকের এক শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মোস্তাফিজুর রহমান আলমগীর নামক এক গ্রাহকের সই জাল করে ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন-পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের চকবাজার শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শরীফ প্রধান এবং একই শাখার এসিটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম।

গতকাল রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের শ্যালক সালেহ আহমেদ মামলাটি দায়ের করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে সিআইডিকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।  যা সোমবার বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম (রিপন) নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদীর ছোট বোন রাবেয়া আক্তারের স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ের আগে এই মামলার আসামি শরীফ প্রধানের স্ত্রীর বড় বোন নাজমা আক্তারের বিয়ে হয়। কিন্তু নাজমা আক্তার ২০১৮ সালে নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। গত বছর ২৯ ফেব্রুয়ারি রাবেয়া আক্তারের সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। মোস্তাফিজুর রহমান নাজিরা বাজারে পপুলার সাইকেল মার্ট নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী হয়ে সাইকেল পার্টস ব্যবসা করার সময় এই মামলার সাক্ষী বিল্লাল হোসেনের কাছে ব্যবসায়িকভাবে ৩৭ লাখ টাকা পাওনা হন। বিল্লাল হোসেন ৩৭ লাখ টাকার চেক মোস্তাফিজুর রহমানকে দেন। চেকটি পেয়ে মোস্তাফিজুর রহমান পূবালী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় যান। সেখানে আসামি শরীফ প্রধানের সাথে দেখা করে চেকটি দেন মোস্তাফিজুর রহমান।

সেদিন (২১ মার্চ) সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি চেকটি শরীফ প্রধানের কাছে রেখে চলে আসেন। পরে তার করোনা পজেটিভ হয়। অসুস্থ অবস্থায় মোস্তাফিজুর রহমান চেকের বিষয়টি তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে জানান। ২৫ মার্চ মোস্তাফিজুর রহমান মারা যান। পরে এ বিষয়ে মামলার বাদী বংশাল থানায় একটি জিডি করেন। জিডি তদন্তে শরীফ প্রধান মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে রফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় ৩৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন মর্মে উঠে আসে। টাকার বিষয়ে রাবেয়া আক্তার জানতে চাইলে শরীফ প্রধান তাকে ভয়ভীতি দেখান।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)