চিকিৎসা সরঞ্জামসহ কালোবাজারি চক্রের সদস্য আটক

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ কালোবাজারি চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৪। তার নাম কাওছার হামীদ মুন্না।  এ সময় তার কাছ থেকে দুই হাজার ৪৩০টি পালস্ অক্সিমিটার, ১৮৬টি ইনফারেড থার্মোমিটার এবং নগদ দুই হাজার ৮৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-৪ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রবিবার বিকাল চারটার দিকে র‌্যাব-৪ এর একটি দল মিরপুর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে নিম্নমানের দুই হাজার ৪৩০টি পালস্ অক্সিমিটার, ১৮৬টি ইনফারেড থার্মোমিটারসহ মো. কাওছার হামীদ মুন্না নামের এক কালোবাজারি চক্রের মূলহোতাকে আটক করা হয়।

আটক কাউছার তার নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন এবং এই ধরনের প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি র‌্যাবকে জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অধিক মুনাফা লাভের আশায় নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রতারণার উদ্দেশে লোকজনের নিকট বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আটক কাউছারকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি মালামালসংক্রান্তে বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদন, ট্রেড লাইসেন্সে কী ধরনের ব্যবসার উল্লেখ, জয়েন স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন, মহাপরিচালক ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এনওসি, মহাপরিচালক ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশনসংক্রান্ত কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি জানান যে, করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুল-কলেজ খুললে জব্দকৃত জাম্পার পালস্ আক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটারের ব্যাপক চাহিদা হবে বিধায় অধিক মুনাফা লাভের আশায় জব্দ করা মালামাল তার কাছে মজুদ রেখেছে বলে র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেন।

পরবর্তী সময়ে জব্দকৃত মালামাল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি পরীক্ষা করে দেখেন যে, ওই জাম্পার পালস্ আক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটারসমূহ সবার দেহে একই তাপমাত্রা প্রদর্শন করে। তিনি জানান, ওই জাম্পার পালস্ আক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটারগুলো নিম্নমানের, যা ব্যবহার যোগ্য নয়।

(ঢাকাটাইমস/২৭ সেপ্টেম্বর/এএ/জেবি)