শুভ জন্মদিন গণমানুষের অভিভাবক

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:১৩ | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:৩৪

দিদার মালেকী, ঢাকাটাইমস

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার প্রথম সন্তান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের এদিন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর জন্ম হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা, শুভ জন্মদিন।

রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর দীর্ঘ যাত্রায় তিনি নানা চড়াই-উৎরাই পার করেছেন। চার দশক ধরে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। কারাভোগ করেছেন, একাধিকবার গৃহবন্দী ছিলেন। রেকর্ড গড়েছেন চারবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘাতকদের গুলিতে নিহত হন। তখন বিদেশে ছিলেন শেখ হাসিনা ও ছোট বোন শেখ রেহানা।

শেখ হাসিনা ঢাকার আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর ভর্তি হন তৎকালীন ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজে (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়)। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন।

১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর খ্যাতনামা পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনার প্রথম সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম হয়। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর জন্ম হয় তাঁর দ্বিতীয় সন্তান সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের।

শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন। ওই বছর দলের সম্মেলনে তাঁর অনুপস্থিতিতে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৭ মে দেশে ফেরেন তিনি। ১৯৯৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয়, ২০১৪ সালে তৃতীয় ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন এসময়ের বিশ্ব রাজনীতিতে আলোচিত এই রাজনীতিক।

দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় ধরে নিজ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য অবদান রাখার পাশাপাশি তিনি সরকার ও রাষ্ট্র পরিচালনায়ও ব্যাপক সাফল্যের পরিচয় দিয়ে চলেছেন।

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের মধ্যে দেশ-জাতি ও অর্থনীতি বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ জাতিসংঘ, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে গণতন্ত্র, শান্তি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী শিক্ষার বিস্তার, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস ও দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রামে অসামান্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/ডিএম)