শুভ জন্মদিন বিশ্ব নারী নেতৃত্বের আইকন

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:৫০

রফিকুল ইসলাম রনি

স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট ছিল ৭৮৬ হাজার কোটি টাকা। ২০০৮ সালের ৯ জুন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বাজেট দিয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৯৬২ হাজার কোটি টাকার। চলতি অর্থবছরের বাজেট ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম বাজেট ছিল এক কোটি ১৩ হাজার ১৭০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ দেশের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে। এটা কীভাবে সম্ভব হয়েছে? উত্তরে মিলবে একজন সফল রাষ্ট্রনায়কের নাম। তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

জন্মের পর পিতার হাত ধরে হাঁটা শিখেছেন। সেই যে পিতার দেখানো পথে চলা শুরু। এখনও পিতার দেখানো পথেই হাঁটছেন। পিতা একটি দেশ, একটি পতাকা, একটি পাসপোর্ট দিয়েছেন। আর তার কন্যা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। তার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত। বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে করোনাকালেও দেশের প্রবৃদ্ধি এশিয়ায় প্রায় সব দেশের ওপরে।

দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রী শেখ হাসিনার আজ জন্মদিন। শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনা-জয়তু শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেসার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী তিনি।

শুধু নারী কোটায় নয়, দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্রপ্রধান ও বিরোধী দলের প্রধান হিসেবে বিশ্বের ইতিহাসে শেখ হাসিনা সবচেয়ে এগিয়ে। তার রাজনৈতিক কর্মনৈপুণ্য সেরাদের মাঝে সেরা হিসেবে অভিহিত। বিভিন্ন সময়ে তাকে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গেও তুলনা করা হয়। দীর্ঘমেয়াদি নারী রাষ্ট্রপ্রধানের এ তালিকায় রয়েছেন জার্মানের চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। তিনি ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। যুক্তরাজ্যের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন প্রায় ১১ বছর সাত মাস। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ষাটের দশকে ক্ষমতায় এসে টানা ১১ বছর তিন মাস এবং আশির দশকে আবার ক্ষমতায় এসে নিহত হওয়ার আগে প্রায় পৌনে চার বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তবে টানা তৃতীয় মেয়াদে এবং আগের এক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। বিশ্ব নারী নেতৃত্বের অন্যতম প্রধান আইকন।

বঙ্গবন্ধুকন্যার এ সাফল্য কি খুব সহজে হয়েছে? মোটেও নয়। উত্তরাধিকারে রাজনীতি পেলেও ক্ষমতা পাননি। কেউ তাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়নি। এ জন্য দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করতে হয়েছে। ১৯৭৫ সালে ঘাতকের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যার পর দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফেরেন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে গ্রামের পর গ্রাম পায়ে হেঁটে বেরিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশে যেদিন শেখ হাসিনা ফিরলেন, সেদিন ঘণ্টায় ৬৫ মাইল বেগে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া। অথচ প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়াও গতিরোধ করতে পারেনি গণতন্ত্রকামী লাখ মানুষের মিছিল। সারাদেশের গ্রাম-গঞ্জ-শহর-নগর-বন্দর থেকে অধিকারবঞ্চিত মুক্তিপাগল জনতা ছুটে এসেছিল রাজধানী ঢাকায়। সামরিকতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী লাখো কণ্ঠের স্লোগানে প্রকম্পিত পুরো রাজধানী। তাকে একনজর দেখার জন্য কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। শেরেবাংলা নগরে লাখ লাখ মানুষের সংবর্ধনা ও হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা-ভালোবাসার জবাবে পিতা-মাতা-ভাইসহ স্বজন হারানোর বেদনায় কাতর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি সবকিছু হারিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে জাতির জনকের হত্যার বিচার করতে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। বাংলার দুঃখী মানুষের সেবায় আমি আমার এ জীবন দান করতে চাই। আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’ শেখ হাসিনা সেদিন জনগণকে দেয়া সেই অঙ্গীকার পূরণে ৪০ বছর ধরে প্রতিনিয়ত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে জনগণের ভাগ্যবদলে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। সে সময়ে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য। আর এখন লড়াই সংগ্রাম করছেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক যুগে বদলে গেছে বাংলাদেশ। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, নিজস্ব অর্থায়নে ৪৫০টি মডেল মসজিদ, সোয়া লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর প্রদান, মেট্রোরেল নির্মাণের মতো মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, প্রতিটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, শক্ত অর্থনীতি তৈরি করা, শতভাগ শিক্ষার হার অর্জন, দারিদ্র্য নির্মূল, করোনা সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে চালকের আসনে সঠিক নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ৩ জুন দেশের ৫০তম জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এবারের বাজেটের আকার ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। ১৯৭২ সালে দেশের প্রথম বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকার। সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে বাংলাদেশের বাজেটের আকারও ছয় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

করোনাভাইরাস মহামারিতে সৃষ্ট নজিরবিহীন সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার আগে ও পরে বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক ধীশক্তি ও দূরদর্শিতার যোগ্য উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদ মীমাংসা, আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের নেতৃত্ব প্রদান, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় প্রদান- এ বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করে। মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তিনি সব সময়ই আপসহীন।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত। বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে করোনাকালেও দেশের প্রবৃদ্ধি এশিয়ায় প্রায় সব দেশের ওপরে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যে স্বনির্ভরতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, আইসিটি খাতে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তথাকথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময়। দেশের শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত্তির বাস্তব প্রমান মেলে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতু নির্মাণ। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন, সমুদ্রসীমা বিজয়, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ হচ্ছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে নির্মাণ হচ্ছে, মেট্রোরেল প্রকল্প চলমান, রুপপুর পরমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, এশিয়ান হাইওয়ে রোড প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে, বাংলাদেশ দারিদ্রসীমা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে, নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নতিকরণ হয়েছে। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কূটনৈতিক দক্ষতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের জন্য কুড়িয়েছেন সুনাম। দেশের জন্য বয়ে এনেছেন গৌরব ও সাফল্য।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব আর কৌশলী অবস্থানের কারণেই মহামারি করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ আজ নতুন পরিচিতি পাচ্ছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বিশ্বে দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি। দলীয় প্রধান হিসেবেও নিজেকে নিয়ে গেছেন উচ্চশিখরে। শেখ হাসিনা একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি জেলে বসেই রাষ্ট্র পরিচালনার সব কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। ১/১১ সরকার অন্যায়ভাবে যখন তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়, তখন জেলখানায় বসে তার সরকারের ভিশন খাতায় লিপিবদ্ধ করেন। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি জাতির সামনে ভিশন তুলে ধরেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ এখন তার হাত ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে।

একজন সম্ভান্ত পরহেজগার মুমিন মুসলমান হলেও তার চিন্তা ও চেতনাজুড়েই অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতি জায়গা নিয়েছে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে তিনি দ্বিধা করেন না। খোলা বইয়ের মতো তার রাজনীতি ও জীবন মানুষের সামনে উন্মুক্ত করেই তিনি পথ হাঁটেন। তার সারল্যতা শিশুর মতো। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল তার হাতের কাছেই শোভা পায়। অবসরে বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকতে তাকে দেখেছি। তিনি নিজে যেমন পড়াশোনায় মগ্ন থাকেন, তেমন আমাদেরও পড়াশোনার তাগিদ দেন। সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করলেও ক্ষমতার কাছে ভিড়তে দেন না। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র রক্ষক। নিজে রাজনীতি করার পাশাপাশি তার দুই সন্তানকেও সুশিক্ষিত করে তুলেছেন। ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আজ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যপ্রযুক্তিতে তিনি উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন। মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় ইতিমধ্যেই সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতিমধ্যে তিনি শান্তি, গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পদক, পুরস্কার আর স্বীকৃতিতে।  ’৭৫ পরবর্তী বাঙালি জাতির যা কিছু মহৎ অর্জন তা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিন আজ গোটা বাঙালি জাতির জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন।

 ‘মেধা, যোগ্যতা, সততা আর দক্ষতায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায়ই নয়, সমগ্র বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।’ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িখানিও তিনি জনগণকে দিয়েছেন। লোভ, মোহের ঊর্ধ্বের পথচলা বিশ্ববরেণ্য নেত্রী আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন, আমাদের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবেন, ততদিন দেশ উন্নয়নের সিঁড়িপথেই হাঁটবে, ততদিন গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকশিত হতেই থাকবে, ততদিন গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে থাকবে। দেশ হবে তার স্বপ্নের দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ। শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা, জয়তু শেখ হাসিনা।

লেখক: গণমাধ্যম কর্মী