নালা থেকে ছাত্রীর লাশ উদ্ধারে চট্টগ্রামে ক্ষোভ বাড়ছে

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩:৫৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী সোমবার রাত ১০টার দিকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পা পিছলে পাশের একটি নালায় পড়ে যান। এর প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এই ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে জনমনে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, অবহেলাজনিত এই হত্যাকাণ্ডের দায় কার? 

নালায় পড়ে যাওয়া ১৯ বছর বয়সি ওই ছাত্রীর নাম সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া৷ সোমবার রাতে শেখ মুজিব সড়ক সংলগ্ন নবী টওয়ারের পাশে ফুটপাত ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় তিনি ড্রেনে পড়ে যান৷ ঘটনার পরপরই তাকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করে স্থানীয়রা৷ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আসেন৷ কিন্তু নালার উপরে আবর্জনার স্তূপ জমে থাকায় এবং তার নিচ দিয়ে পানির স্রোত থাকায় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না৷

এর আগে ভারী বৃষ্টিতে বন্দরনগরীতে জলাবদ্ধতার কারণে ২৫ আগস্ট সকালে মুরাদপুর এলাকায় খালে পড়ে সালেহ আহমদ নামের এক সবজি ব্যবসায়ী তলিয়ে যান৷ এছাড়াও গত ৩০ জুন নগরীর ষোলশহর চশমা হিল এলাকাতেও এমন দুর্ঘটনা ঘটে৷ একটি অটোরিকশা খালে পড়ে গেলে মারা যান ৩৫ বছর বয়সি চালক সুলতান ও ৬৫ বছর বয়সি যাত্রী খাদিজা বেগম৷ এসব ঘটনায় এখন জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

আগ্রাবাদের বাসিন্দা ফারজানা ইয়াসমিন ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘এই ড্রেনগুলো এখন মৃত্যুফাঁদ হয়ে উঠেছে। আমরা রিকশায় থাকি কিংবা হেঁটে যাই - যেভাবেই রাস্তা দিয়ে যাই না কেন অন্যান্য দুর্ঘটনার পাশাপাশি এখন এই ড্রেনে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বিরাট ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছে।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, শহরের মধ্যে এই ড্রেনগুলোর বর্জ্য পরিষ্কার, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রকল্প চালু আছে। এই কাজগুলো শেষ হলে ড্রেন বা নালাগুলো ঢেকে দেওয়ার কাজ করা হবে পর্যায়ক্রমে। তবে শহরে এমন ঝুঁকিপূর্ণ কতগুলো নালা আছে তার কোনো হিসাব দিতে পারেননি তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/জেবি)