‘সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে হৃদরোগে মৃত্যু কমানো সম্ভব’

প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:২৪ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

উচ্চরক্তচাপ হৃদরোগের প্রধান কারণ। এটি হৃদরোগের একটি নীরব ঘাতক। উচ্চরক্তচাপ প্রথমে হার্টে আঘাত করে। তারপর ব্রেন, চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত করতে থাকে। এর ফলে স্ট্রোকের মত মারত্মক রোগে আক্রান্ত হয়। তবে সঠিক সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হৃদরোগে মৃত্যু কমানো সম্ভব।

বুধবার ‘হৃদয় দিয়ে হৃদযন্ত্রের যত্ন নিন’ এই স্লোগানে আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজে বিশ্ব হার্ট দিবসের সেমিনারে একথা বলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা।

মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের আয়োজনে প্রফেসর ইব্রাহীম লেকচার থিয়েটারে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা হার্টের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করেন। 

সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন হাসপাতালটির কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হাসান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আফিকুর রহমান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আশরাফ-উজ্জামান, মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মানবেন্দ নাথ নাগসহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

ডা. মো. নাজমুল হাসান বলেন, মূলত বিশ্বব্যাপী হার্ট সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত হয়। প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় দুই কোটি মানুষ হৃদরোগে মারা যাচ্ছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশে প্রায় ছয় লক্ষ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে দুই লক্ষাধিক রোগী মারা গেছে। এছাড়া প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে প্রতি পাঁচ জনে একজন মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পান, কায়িক পরিশ্রম না করা ইত্যাদি কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। উচ্চ রক্ত চাপ হৃদরোগের প্রধান কারণ। এটি হৃদরোগের একটি নীরব ঘাতক। উচ্চ রক্তচাপ প্রথমে হার্টে আঘাত করে। তারপর ব্রেন, চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত করতে থাকে। এর ফলে স্ট্রোকের মত মারত্মক রোগে আক্রান্ত হয়।

তবে সঠিক সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিলে হৃদরোগে মৃত্যু কমবে বলে আশা করেন তিনি। 

আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আফিকুর রহমান বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বে বিভিন্ন দিসব পালিত হয়। বিশ্ব হার্ট দিবসে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আরো বেশি গবেষণার জন্য এ দিবসে আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে সামাজিকভাবে আমরা সচেতন হলে হার্টের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/বিইউ/কেআর)