ভাঙা সাঁকোয় লাখো মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ

নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর)
 | প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২:১৬

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে বেলান নদীর গতিপথ বন্ধ করে নির্মিত বিকল্প রাস্তা বৃষ্টির চাপে ভেঙে যাওয়ার পর দায়সারাভাবে তৈরি সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় প্রায় এক লাখ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন জনগণ। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। তবু সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, এলজিইডির বাস্তবায়নে বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামো পুনবার্সন প্রকল্পের আওতায় প্রায় তিন কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকেরহাট টু খানসামা সড়কে বেলান নদীর ওপর ৩৫ মিটার গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্ষার আগে সেতুর কাজ শেষ করবে মর্মে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যানবাহন ও পথচারীদের যাতায়াতে নদীর গতিপথ বন্ধ করে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করেন। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় পানি পারাপারে রিং বসানো হয়েছিল। সেটিও পানি প্রবাহের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। পরে সেই রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পানির চাপে সেই সাঁকোর দু'পাড় ভেঙে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর ওপর নির্মিত বিকল্প রাস্তার মাঝে দায়সারাভাবে ছোট একটি সাঁকো দেয়া হয়েছে। যা নির্মাণের কয়েক দিনের মাথায় ভেঙে পড়ে। ফলে পথচারী, সাইকেল, মোটরসাইকেল ও ভ্যানগাড়ি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন। এতে করে প্রায় সময়ে মোটরসাইকেল ও ভ্যানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আর ইন্জিনচালিত যানবাহনগুলো প্রায় ২ কিলোমিটার ঘুরে পাকেরহাট জাকির মার্কেট হয়ে নিউ পাকেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মোড় দিয়ে ভান্ডারদহ, বালাডাঙ্গী, ডাঙ্গপাড়া, খামারপাড়া, হোসেনপুর, সহজপুর ও খানসামাসহ পাশের উপজেলায় যাচ্ছেন।

কযেকজন পথচারী ও ভ্যানচালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার মধ্যে পাকেরহাট একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাট। এখানে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাটে প্রতিনিয়ত কাঁচামালসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা-বেচার জন্য উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত হতে আসতে হয়। অতি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে স্থায়ীভাবে কিছু না করে দায়সারাভাবে ছোট একটি সাঁকো তৈরি করে দেয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আবার সেই সাঁকোটিও ভেঙে যাওয়ায় প্রায় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস বসুন্ধরার ম্যানেজার তাপস কুমার মনা জানান, বিষয়টি আমরা দেখছি। ২/৩ দিনের মধ্যে চলাচলের উপযোগী করার জন্য সাঁকোটি সংস্কার করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ বলেন, পানির গতি প্রবাহ বন্ধ না করে বিকল্প রাস্তা হিসেবে কাঠের সাঁকো পুনঃনির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :