বানর রক্ষায় এগিয়ে এলেন ইউএনও

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৫৫

আহমাদ সোহান সিরাজী, সাভার (ঢাকা)

ঢাকার ধামরাইয়ে ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বানরগুলো বিলুপ্তির পথে। খাবার সংকট, বসবাস ও বিচরণের অনুকূল পরিবেশ না থাকায় দিন দিন কমে যাচ্ছে বানরের সংখ্যা। কালের বিবর্তনে গাছপালা কেটে তৈরি করা হয়েছে পাকা স্থাপনা। এসব স্থাপনায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক তার। ফলে বিদ্যুতায়িত হয়ে ইতোমধ্যে বেশকিছু বানর মারাও গেছে।

পৌরসভাও পরিণত হচ্ছে ঘিঞ্জি এলাকায় সর্বোপরি খাবার সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় প্রায় ৪০০ বছরের ঐতিহ্য ও প্রকৃতির অনন্য সম্পদ বানর আজ বিলুপ্তির পথে।

একসময় সহস্রাধিক বানর ছিল ধামরাইয়ে। এখন এর সংখ্যা মাত্র ২০০-এর মতো। বর্তমানে সংখ্যায় কম হলেও এদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য বরাদ্দ নেই সরকারিভাবে। তবে এবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদ্যোগ নিয়েছে জীববৈচিত্র্য রক্ষায়। বানর বিলুপ্তি রোধে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকার সরকারি খাদ্য সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি।

বুধবার রাতে তার ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী।

এলাকাবাসী জানায়, বানরগুলো এখন খাবারের সন্ধানে এলাকার বাড়ি-ঘর, বাজারের দোকানপাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হানা দিচ্ছে। ব্যক্তিপর্যায়ে স্থানীয়ভাবে কিছু খাবার সরবরাহ করা হলেও কোন স্থায়ী ব্যবস্থা না থাকায় এই সংকট রয়েই গেছে। এ কারণে বানরগুলো প্রায়ই অনাহারে থাকে। দর্শনাথী ও জনসাধারণের হাতে কিছু দেখলেই খাবার মনে করে বানরগুলো দল বেঁধে নিচে নেমে এসে প্রায়শই তাদের আক্রমণ করে।

এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রকৃতির অনন্য সম্পদ এই বানরগুলোকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য গত ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলার রাজস্ব তহবিল থেকে বানরের খাবার বাবদ প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করার অনুমোদন চেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ, বরাবর পত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলার রাজস্ব তহবিল থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ধামরাই উপজেলার ঐতিহ্য বানর রক্ষায় এর খাবার বাবদ প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এই খাবার পেলে বানরের খাদ্য সংকট কিছুটা কমে তাদের বিলুপ্তি রোধ হবে বলেও মনে করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/এলএ)