কিস্তির টাকার জন্য গর্ভবতী নারীকে আটকে রাখার অভিযোগ

মাদারীপুর প্র‌তি‌নি‌ধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:১১

মাদারীপুর সদর উপজেলার নয়ারচর গ্রামে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কিস্তি পরিশোধ করতে না পারার কারণে রুমা আক্তার নামে এক গর্ভবতী নারীকে দিনভর এনজিও অফিসে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার মাদারীপুরে সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকায়। ত‌বে বিষয়টি গোপন থাকায় বৃহস্পতিবার জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এনজিওটির ব্যবস্থাপক। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টিকে অমানবিক উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার সাজেদা ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও থেকে চলতি বছরের ২৮ মার্চ ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন নয়ারচর গ্রামের ভ্যানচালক মোস্তাকিন বেপারীর স্ত্রী রুমা আক্তার।

করোনার কারণে নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিলেন না রুমা। পরে বুধবার দুপুরে রুমাকে ঋণের কিস্তির জন্য ওই এনজিওর মস্তফাপুর শাখার ফিল্ড অফিসার মৌসুমী আক্তার চাপ দেন। রুমা কিস্তি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে জোর করে এনজিও অফিসে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

এ বিষয়ে ঋণগ্রহীতা রুমা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী ভ্যানচালক। করোনার কারণে ভ্যানে যাত্রী উঠেছে না। এ কারণে আয় রোজগার কমে গেছে। তাই এই মাসের কিস্তির টাকা দিতে পারিনি। সে কারণে এনজিও থেকে ফিল্ড অফিসার মৌসুমী আপা এসে আমাকে জোর করে অফিসে নিয়ে যান।

‘পরে আমাকে অনেক হুমকি-ধমকি দিয়ে বলে- কিস্তি পরিশোধ করে তোমার স্বামী তোমাকে ছাড়িয়ে নেবে। পরে একথা জানাজানি হলে সন্ধ্যায় মাগরিবের আজানের আগে আমাকে ছেড়ে দেয়।’

স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন মাতুব্বর বলেন, ‘কিস্তির টাকা দিতে না পারার কারণে এক গর্ভবতী নারীকে এনজিওর লোকজন অফিসে আটকে রেখেছে। ঘটনাটি অমানবিক। আমরা এর বিচার চাই।’

তবে মস্তফাপুর শাখার ফিল্ড অফিসার মৌসুমী আক্তারের ভাষ্য, ‘আমি ঋণের টাকা আদায়ের জন্যে চাপ দিয়ে‌ছি। কিন্তু আটকে রাখিনি। ঋণগ্র‌হিতা দীর্ঘ দিন ধরে কি‌স্তি দি‌চ্ছিলেন না।’

(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :