করোনায় প্রাণ হারালেন বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক ফরহাদ খান

প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক, লেখক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ খান। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

ফরহাদ খানের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। তার স্ত্রী মারা গেছেন আগেই।

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন ফরহাদ খান। এর মধ্যেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে গত সপ্তাহে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে মিরপুর ১১ নম্বরের জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে ফরহাদ খানকে দাফন করা হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাও জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। বাংলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা পিয়াস মজিদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১৯৪৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা গ্রামে ফরহাদ খানের জন্ম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে বাংলায় লেখাপড়া করে ১৯৭০ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী কলেজে তার কর্মজীবন শুরু।

১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমিতে যোগ দেওয়ার পর ভাষা-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন ফরহাদ খান। ২০০২ সালে তিনি পরিচালক হিসেবে অবসরে যান।

১৯৬৫ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বেতারে সংবাদ অনুবাদ ও পাঠক হিসেবে তিনি কাজ করেন। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বেতারের 'উত্তরণ' ও 'সংবাদ বিচিত্রা'র সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। পরে জার্মানির ডয়েচে ভেলের বেতার বিভাগেও তিন বছর কাজ করেছেন।

পাশাপাশি টেলিভিশনে ভাষা নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন ফরহাদ খান। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিনি ‘মোদের গরব মোদের আশা’, ‘আহমান বাংলা’ এবং ‘মাতৃভাষা’ নামে কয়েকটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছেন।

ফরহাদ খানের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রতীচ্য পুরাণ, বাংলা শব্দের উৎস অভিধান, চিত্র ও বিচিত্র, হারিয়ে যাওয়া হরফের কাহিনী, শব্দের চালচিত্র, নীল বিদ্রোহ, বাঙালির বিবিধ বিলাস। 

ঢাকাটাইমস/০১অক্টোবর/ইএস