যে নিয়মে হাঁটলে শরীরে মেদ দ্রুত ঝরবে
সুস্বাস্থ্যের জন্য উৎকৃষ্ট ব্যায়াম হলো হাঁটা। যান্ত্রিক জীবনে অলসভাবে সবার সময় কাটে। এতে করে শরীরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে। অনেকে শরীরচর্চা করার সময় পান না। আবার অনেকেই মেদ ঝড়াতে প্রতিদিন হাঁটেন। তবে অভিযোগ করেন তাতেও কোনও লাভ হচ্ছে না।
মেদ ঝরাতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে হাঁটতে হবে। কখন হাঁটবেন আর কত সময় ধরে হাঁটবেন এর কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। এসব নিয়ম না জানলে আপনার মেদ ঝরানোর চেষ্টা সফল নাও হতে পারে।
হাঁটার সময়ে কয়েকটা দিক মাথায় রাখা জরুরি। যতটা পারেন হাঁটাহাঁটি করুন। খুচরো হাঁটায় শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গরা সচল থাকে তবে এতে খুব একটা মেদ ঝরে না। মেদ ঝরাতে কিছু নিয়ম মেনে হাঁটতে হবে।
একসঙ্গে অনেকে হাঁটতে বেরবেন না। অনেকেই এই সময় গল্প করতে করতে হাঁটেন। এই অভ্যাসগুলো কিন্তু মেদ কমানোর পথে বাধা হতে পারে।
মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতেও হাঁটবেন না। এতে হাঁটার গতি কমে যায়।
একটানা রাস্তা ধরে হাঁটুন। বারবার থমকে হাঁটার চেয়ে টানা হাঁটায় উপকার বেশি।বাড়ির ছাদ বা বারান্দার থেকে রাস্তায় হাঁটা উপকারী। এমন কোনও রাস্তা বাছুন, যেখানে ধোঁয়া, যানজট নেই। গলি হাঁটার জন্য ভাল। যানবাহনের ধোঁয়া এই সময়ে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
পোষ্যকে নিয়ে নিয়মিত হাঁটুন। ওজন কমানোর জন্য হাঁটার সময় একা হাঁটুন। দ্রুত হাঁটার সঙ্গে তাল মেলাতে পোষ্যের অসুবিধা হতে পারে।
দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ বাড়াবে এমন কিছু ভাবতে ভাবতে হাঁটা চলবে না কিছুতেই। বরং সে সব ঠেকাতে ওই সময়টা ইয়ারফোন বা হেডফোনে গান শুনুন। গাড়ির রাস্তায় হেডফোন অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।
নিয়মের সঙ্গে হাঁটার সময়টাও মাথায় রাখা জরুরি। সপ্তাহে অন্তত ২৫০ মিনিট হাঁটতে হবে। দীর্ঘ ক্ষণ হাঁটাহার্টের পক্ষে ভাল। কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হাঁটার সময় কী ধরনের জুতো পরছেন, তার দিকে খেয়াল রাখাটাও জরুরি। পায়ের আরাম হয়, এমন জুতো পরুন
হাতে বা পিঠে অনক বোঝা নিয়ে হাঁটবেন না। এতে ক্লান্তি বাড়বে, বেশি ক্ষণ হাঁটা সম্ভব হবে না।
সপ্তাহে হাঁটতে হবে অন্তত ২৫০ মিনিট। গড় হিসেবে প্রতিদিন ৩৫ মিনিটের একটু বেশি। এটুকু হাঁটা শরীরের শুধু মেদ ঝরাবে শুধু তাই নয়, কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট ভাল রাখবে।
হাঁটাহাঁটির প্রথম দিকে এক সেকেন্ডে একটা স্টেপ, পরে হাঁটার অভ্যাস হলে সেকেন্ডে দুই স্টেপ হিসেবে হাঁটতে হবে। আর অবশ্যই হাঁটতে হবে একটানা। বার বার থমকে, ঘন ঘন দিক বদলে হাঁটার চেয়ে টানা হাঁটায় উপকার বেশি। তাই বাড়ির ছাদে বা লনে নয়, রাস্তা ধরে হাঁটুন।
বার বার হাঁটার সময় গাড়িঘোড়ার উপদ্রবে দাঁড়াতে হলে তা হাঁটায় বিঘ্ন ঘটায়। তাই গলিপথগুলো হাঁটার জন্য ভাল। সেই সঙ্গে যানবাহনের ধোঁয়া থেকে বাঁচা যাবে।
পায়ে বা হাঁটুতে চোট থাকলে বা কোমরে কোন সমস্যা হলে অবশ্যই হাঁটার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দিনে কতটুকু হাঁটলে আপনার হাড় ও স্নায়ু তা সইতে পারবে, তা জেনে তবেই হাঁটাহাঁটি শুরু করুন।
সকালে বা বিকেলে বা সন্ধ্যায়, যেকোনও সময়েই হাঁটতে পারেন। রাতে খাওয়াদাওয়ার পরেও হাঁটতে পারেন। তবে খুব ভরাপেটে বা একেবারে খালিপেটে হাঁটবেন না। পায়ে বা হাঁটুতে চোট থাকলে বা কোমরের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই হাঁটার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
(ঢাকাটাইমস/০৩অক্টোবর/আরজেড/এজেড)