‘পরকীয়া ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা আড়াল করতেই নাটক সাজান অমি’

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০২১, ২২:২৬

নিজস্ব প্রতিনিধি, ফেনী

পরকীয়া ও প্রবাসী স্বামীর টাকা আত্মসাতের ঘটনা জানাজানির ভয়ে শ্বশুর পরিবারকে চাপে রাখতে পরশুরামের গৃহবধূ খালেদা ইসলাম অমি নাটকীয় কাহিনী রটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন, তার স্বামী লিখন খানের ভাগ্নে জিন্নাত হোসেন ইমন।

ইমন জানান, তার মামা লিখন খান দীর্ঘদিন স্পেনে রয়েছেন। এসময়ে লিখন খান থেকে তার স্ত্রী অমি নানা প্রয়োজন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা আদায় করেন। এসব টাকা দিয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন নামে এক ভাগ্নের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত কয়েকদিন আগে মামুনের সঙ্গে গৃহবধূর অনেক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি সবার নজরে আসে।

রবিবার সন্ধ্যায় ফেনী শহরের বেস্ট ইন রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তার স্বামীর পরিবারের সদস্যরা। এ সময় অমির শাশুড়ি খায়রুন নেছা, দেবর রাসেল, গ্রেপ্তার মিনারের মা সামছুন নাহার, তারেকের বোন হাজেরা আক্তার, নজরুলের বাবা নুরুল ইসলাম প্রমুখ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে ইমন জানান, তার মামা লিখন খান গত ১৮ আগস্ট বাড়িতে আসার কথা পরিবারকে জানান। এতে অমি বিচলিত হয়ে ওঠেন। টাকা পয়সার হিসাব ও পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে নাটকীয় কল্পকাহিনী সাজান।

সাংবাদিক সম্মেলনে ইমন দাবি করেন, অমির মায়ের প্রস্তাবে উভয় পরিবারের সম্মতিতে অমিকে সাপ দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা হয়। এছাড়া এসিড নিক্ষেপের ঘটনা অমির মায়ের পরিবারের পূর্ব পরিকল্পিত সাজানো নাটক। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রকৃত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান ইমন ও তার পরিবারের সদস্যরা।

এর আগে অমিকে সাপ দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় ১৫ আগস্ট অমির ননদ হাসিনা আক্তার ও তার স্বামী আবুল কাসেমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৫ সেপ্টেম্বর ফুলগাজীতে গৃহবধূর নিজ ঘরে তাকে এসিড নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে লিখনের ভাগ্নে তারেক, মিনার ও নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

(ঢাকাটাইমস/৩অক্টোবর/কেএম)