যশোরে দুই বান্ধবীকে ধর্ষণ-হত্যা: দুজনের ফাঁসির প্রস্তুতি

প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০২১, ২০:৪১ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২১, ২০:৪৩

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চুয়াডাঙ্গার আলোচিত ধর্ষক ও খুনি কালু ও আজিজুলের ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে যশোর কারা কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাত পৌনে ১১টায় কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। ফাঁসি কার্যকরে প্রশিক্ষিত পাঁচজন জল্লাদ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায় লক্ষীপুর গ্রামের মিন্টু ওরফে কালু ও একই গ্রামের আজিজ ওরফে আজিজুল। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর তাদের ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে যশোর কারা কর্তৃপক্ষ।

শনিবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে শেষবারের মতো দুজনের স্বজনরা তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। বিচারিক ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে এই ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে ভুক্তভোগী দুই পরিবারের টানা ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান।

কারাগার সূত্র জানায়, আজিজুল এবং কালু আলমডাঙ্গার রায় রায়লক্ষীপুর গ্রামের দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন ২০০৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মামলা হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই তাদের মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনকেই দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।

এরপর আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। আসামিপক্ষ মামলাটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যান। চলতি বছরের ২৬ জুলাই সেখানেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ হয়। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া হলেও তা নামঞ্জুর হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর কারা অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় সুরক্ষা সেবা বিভাগ। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার ৮ সেপ্টেম্বর সেই চিঠি গ্রহণ করে।

কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান বলেন, ফাঁসি কার্যকর করতে কেতু কামার, মশিয়ার রহমান, লিটু হোসেন ও আজিজুর রহমানসহ আট জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফাঁসি কার্যকরের সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির অনুরোধে তাদের স্বজনদের সঙ্গে শেষ দেখাও সম্পন্ন হয়েছে। এসময় পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

(ঢাকাটাইমস/৪অক্টোবর/কেএম)