বগুড়া মহিলা আ.লীগ সম্পাদকের পদ নিয়ে মামলা
সদ্য ঘোষিত বগুড়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন বিদায়ী সম্পাদক সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরোথী। বুধবার তিনি বগুড়ার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এই আবেদন করলে বিকালে আদালতে বাদীর আবেদনটি ভার্চুয়াল শুনানি শেষে বিচারক কারণ দর্শনোর আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এতথ্য জানিয়েছেন মামলার বাদী সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরোথী। তিনি বলেন, মামলায় জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক সাবিহা সাবরিন পিংকি, সাবেক সভাপতি খাদিজা খাতুন শেফালী, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগমকে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতের বিচারক শাহাদাত হোসেন আবেদন আমলে নিয়ে বিবাদীদেরকে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন।
সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরোথী জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাবিহা সাবরিন পিংকি দলের কোনো স্তরেই সদস্য ছিলেন না। তিনি অর্থের বিনিময়ে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। এসবের প্রতিকার চেয়ে ৬ অক্টোবর তিনি উচ্চ আদালতে ঘোষিত কমিটির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি আবেদন করেছেন।
ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাবিহা সাবরিন পিংক বলেন, ‘আমি দলে ছিলাম কি ছিলাম না সেগুলোর প্রমাণও উনার সঙ্গেই আছে। উনার সঙ্গে যে কয় লাখ ছবি আছে আমার প্রোগ্রামের। উনার সঙ্গে ছিলাম কি ছিলাম না সেগুলো আদালতে পেশ করবো। যেহেতু তিনি আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন সেহেতু আমরা সেগুলো আদালতে পেশ করবো। আর আমি কোন পরিবারের সন্তান, আওয়ামী লীগ থেকে এসেছি কিনা সেটারও প্রমাণ আছে।’
পিংকি বলেন, ‘আমার বাবা-মা দুজনই আওয়ামী লীগ করেছেন। বাবা ছিলেন বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা এবং মা ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক। আমি ২০১৫ সাল থেকে সংগঠনের সঙ্গে আছি। ২০১৮ সালে আমাকে এই কমিটিতে নেয়া হয়। সমস্ত প্রমাণাদিসহ আমরা কোর্টে পেশ করবো।’
সদ্য ঘোষিত জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেফাজত আরা মিরা বলেন, ‘যেখানে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে মামলা করে কোনো কাজ হবে না। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা নতুন কমিটির পরিচিতি সভার আয়োজন করবো।’
(ঢাকাটাইমস/৭অক্টোবর/কেএম)