ঘাটাইলে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, দুজন গ্রেপ্তার

মোবাইল ফোনে পরিচয়। মাঝে মধ্যে চলতো খুনসুটি। এভাবেই একে অন্যের সঙ্গে তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। তরুণীর বয়স কেবল ১৫ হলেও প্রেমিকের আছে স্ত্রী-সন্তান। সব জেনেও চলছিল অদম্য প্রেমালাপন। প্রথম সাক্ষাতেই প্রেমিকের বাহুডোরে ধর্ষণের শিকার হয় এই তরুণী।

শুধু প্রেমিকা নয়, প্রেমিকের মামাও অংশগ্রহণ করেন এই ধর্ষণযজ্ঞে। পরে আরও একজন অংশ নিতে চাইলে ধর্ষিতার কান্না আর ক্ষমা প্রার্থনায় প্রাণে রক্ষা পায় ওই তরুণী।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের দোলালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা থানায় মামলা করেন। এ মামলায় লক্ষিন্দর ইউনিয়নের মুরাইদ গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে মোস্তফা (২৫) এবং একই এলাকার মফেজ উদ্দিনের ছেলে মোফাজ্জলকে (৩৫) আটক করে পুলিশ।

সাগরদিঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান এবং ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় মোস্তফার। মাঝে মাঝে কথা হতো তার সঙ্গে।

গত দুই দিন আগে ওই তরুণী পরিবারের সঙ্গে রাগ করে চাকরির খোঁজে চলে যায় গাজীপুর। কোথাও চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পরে ওই মেয়ে। পরে মোস্তফাকে বিষয়টি জানালে সে ওই তরুণীকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে তার কাছে ডেকে নেন। মোস্তফা ওই মেয়েকে পরের দিন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিবে বলে এক রাত অপেক্ষা করতে বলেন।

পরে মোস্তফা তার প্রতিবেশি এক মামা মোফাজ্জল হোসেনের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায় ওই মেয়েকে। পরে মামা-ভাগিনা দুজনে মিলে পালাক্রমে চালায় অত্যাচার। এসময় মেয়েটি চিৎকার করলে মোস্তফা তার মামাকে টেলিভিশনের ভলিয়ম বাড়িয়ে দিতে বলেন।

মেয়েটিকে নানা ভয় দেখিয়ে চলতে থাকে পাশবিকতা। এসময় আরও একজন উপস্থিত হয় তাদের সঙ্গে অংশ নিতে। কিন্তু মেয়েটি কান্না করে ক্ষমা চাওয়ায় বেঁচে যায় তার হাত থেকে। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে সাগরদিঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে স্থানীয় লোকজনসহ পুলিশ তাদের আটক করে।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে এবং ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৮অক্টোবর/কেএম)