রাত পোহালেই পূজা শুরু, চলছে মন্ডপের শেষ কর্মযজ্ঞ

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর ২০২১, ২২:৫০

বছর ঘুরে আবার এসেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। রাত পোহালেই পূজা শুরু, আর তাই শেষ আয়োজন চলছে পূজা মন্ডপগুলোতে। প্রতিমা সাজানোর পালাও প্রায় শেষের দিকে।

মন্ডপে আলোকসজ্জা আর উঠোনে আলপনা মেখে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে সৌন্দর্য। প্রতিমার কোথাও যেন সৌন্দর্য্যের ঘাটতি না থাকে সেদিকে চোখ দিচ্ছেন কারিগররা। এমন কর্মযজ্ঞ চোখে পড়ছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সব কয়টি পূজা মন্ডপে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি কালিয়াকৈর শাখা সূত্রে জানাগেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মোট ১২৮টি দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

সরেজমিনে কয়েকটি পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, দিন রাত একাকার করে কারিগররা প্রতিমা তৈরির শেষ আয়োজন চালাচ্ছেন। বাহারি রঙ, স্বর্ণালংকার আর লাল শাড়িতে পরিপূর্ণ করা হচ্ছে প্রতিমাকে। রঙতুলি হাতে পুরো প্রতিমাজুড়ে বারবার কারিগররা চোখ ভোলাচ্ছেন। দেখছেন কোথাও কোনো অপূর্ণতা রয়েছে কি না। অন্যদিকে চলছে মন্ডপের লাইটিং ডেকোরেশন ও দর্শনার্থীদের আপ্যায়নের ব্যবস্থাও।

মন্ডপে বাহারি রঙের আলপনা আর নকশা আঁকায় ব্যাস্ত অনেকেই। পূজোর আয়োজনকে ঘিরে পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে বাড়ির শিশু-কিশোর এবং বয়স্কদের মনেও খুশির আমেজ যেন ভরপুর। আয়োজন আর অতিথি আপ্যায়নের যেন কোন কমতি না থাকে সেই দিকে নজর রয়েছে প্রতিটি পরিবারে। পঞ্চমী থেকে শুরু করে দশমী এই পাঁচ দিন যেন ভিন্ন ভিন্ন আনন্দ নিয়ে আসবে সকলের মনে। এদিকে পূজা উপলক্ষে নতুন জামা-কাপড় কেনার ধুম পড়েছে পাড়া মহল্লার মার্কেটগুলোতে।

সুপ্তি সাহা নামে একজন জানান, বছর ঘুরে মা এসেছে। মনে তো আনন্দ থাকবেই। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব তাই আগে থেকেই নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। হাতে সময় নেই তাই পূজা উপলক্ষে পরিবার পরিজনদের জন্য কেনাকাটা করতে মন আকুপাকু করছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কালিয়াকৈর শাখার সভাপতি দেব দুলাল সরকার ঢাকাটাইমসকে বলেন, গত বছর মহামারী করোনার প্রভাবে আমাদের পূজা মন্ডপগুলো আনন্দহীন হয়ে পড়েছিল। তবে এ বছর করোনার প্রভাব অনেকটা কম থাকায় সবাই আনন্দের সঙ্গে পূজোর আয়োজন করছে। বড় ছোট সবার মনেই এ বছর আনন্দের যেন কমতি নেই।

কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, সনাতন ধর্মীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এসব স্থানে নিরাপত্তা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। আশাকরি সুষ্টু ও সুন্দরভাবে হিন্দু সম্প্রদায় তাদের পূজা উৎসব পালন করবে।

(ঢাকাটাইমস/৮অক্টোবর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :