খাবারে অতিরিক্ত হলুদ নয়

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৪১ | প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৩২

রান্নায় হলুদ ব্যবহার করা হয়। হলুদ রোগজীবাণু প্রতিরোধ করে। সংক্রমণ ঠেকায়। আর হলুদের মধ্যে থাকা কিউকারমিন ক্যানসারও প্রতিরোধ করে। চায়ের সঙ্গে কাঁচা হলুদ কিংবা কাঁচা হলুদ দিয়ে চা, দুধ এখন অনেকেই খাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে অতিরিক্ত হলুদ খাওয়া কিন্তু ঠিক নয়। কারণ এর নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।

শরীর থেকে আয়রণ শোষণ করে নেয় অতিরিক্ত হলুদ। তখন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। ফলে আয়রনের ঘাটতি তৈরি হয় শরীরে। হলুদের মধ্যে থাকা কিউকারমিন ভেঙে ফেরিক কিউকারমিন তৈরি হয়। যার জন্যেই অতিরিক্ত আয়রন শরীর থেকে শুষে নেয়।

এই যৌগটি দেহে আয়রন ভারসাম্যের জন্য দায়ী পেপটাইডস, হেপসিডিন সংশ্লেষণকেও বাধা দিতে পারে। এই সমস্ত কারণগুলো একসাথে আয়রনের ঘাটতি বাড়ে। শুধুমাত্র শরীরে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে এমন নয় সেই সঙ্গে হজমেরও কিন্তু সমস্যা হতে পারে। খুব বেশি হলুদ খেলে ত্বকের সমস্যা, মাথা ধরা এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও লিভার বড় হয়ে যাওয়া, আলসার, প্রদাহ এসবও হতে পারে।

হলুদের মধ্যে যে কিউকারমিন থাকে তা কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো। স্বাস্থ্যের দিক থেকেও উপকারী। কিন্তু বেশি হলুদ খেলে কিংবা হলুদের সাপ্লিমেন্ট খেলে শুধুই যে অ্যানিমিয়া হবে তা নয়। এর সঙ্গে রক্তপাতে সমস্যা, কিডনি স্টোন, ডায়াবেটিস এসবও কিন্তু আসতে পারে।

হলুদ খাবেন দিনে কতবার। সব কিছু একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া দরকার। যদি প্রতিদিন ২০০০-২৫০০ মিলিগ্রাম হলুদ খেতে পারেন তাহলে মাত্র ৬০-১০০ মিলিগ্রাম কিউকারমিন আপনার শরীরে যাবে। তবে এর সঙ্গে আর হলুদের কোনও সাপ্লিমেন্ট খাওয়া ঠিক নয়। সবথেকে ভালো খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিন।

ঢাকাটাইমস/০৯অক্টোবর/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :