‘ইভ্যালিকে ব্যবসার সুযোগ দিন, টাকার দায় আমাদের’

প্রকাশ | ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১৬:৩৩ | আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১৬:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে ব্যবসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানে পণ্যের অর্ডার করা গ্রাহক ও মার্চেন্টরা। এ জন্য তারা ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তি চেয়েছেন। তারা বলছেন, সরকারকে কারও টাকার দায় নিতে হবে না। ব্যবসার সুযোগ দিলে ইভ্যালি গ্রাহক-মার্চেন্টদের দায় মেটাতে পারবে।

শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রতীকী অনশনে গ্রাহকরা এসব কথা বলেন। এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বাঁধার মুখে তারা শাহবাগে আসেন।

বক্তরা বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন আমাদের টাকার দায় সরকার নেবে না। তার উদ্দেশে আমরা বলছি, ইভ্যালিকে ব্যবসা করার সুযোগ দিন। আমাদের টাকার দায়ভার আমরাই নেব। অন্য কাউকে এর দায় নিতে হবে না।’

এ সময় ইভ্যালির ভোক্তা ও পণ্য সরবরাহকারীদের সহসমন্বয়ক সাকিব হাসান বলেন, ‘প্রায় ৭৪ লাখ গ্রাহক প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি বিক্রেতা ও ৫ হাজার স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ইভ্যালির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও সিইওকে কারাগারে রাখাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্যবসার পরিধি বড় হলে কিছু অভিযোগ বা সমন্বয়হীনতার অভাব থাকতেই পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইক্যাব, মার্চেন্ট, ভোক্তাসহ সবার প্রতিনিধি ও ইভ্যালির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব।’

প্রতীকী এ কর্মসূচিতে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তিসহ সাত দফা দাবি জানান ইভ্যালির ভোক্তা ও পণ্য সরবরাহকারীরা।

সাত দফা দাবি হলো:

 ১. ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তি দিতে হবে।

 ২. রাসেলকে নজরদারির মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।

 ৩. এসক্রো সিস্টেম চালু হওয়ার আগে অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি দিতে রাসেল সময় চেয়েছেন, আমরা তাঁকে সময় দিয়ে সহযোগিতা করতে চাই।

 ৪. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইক্যাব, পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট ও ভোক্তা প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।

 ৫. করোনাকালে বিভিন্ন খাতের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে প্রণোদনা দিতে হবে।

 ৬. ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাধ্যতামূলক লাইসেন্স নিতে হবে ব্যাংক গ্যারান্টিসহ।

 ৭. ই-কমার্স বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত, যেখানে হাজার হাজার উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে এবং লাখ লাখ কর্মসংস্থান হচ্ছে। এই খাতকে সরকারি সুরক্ষা দিতে হবে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। এর পরপরই মোলাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। বর্তমানে তারা দুজন কারাগারে রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/৯অক্টোবর/আরকে/ইএস)