নূরপুরে দৃষ্টি কাড়ছে বিষমুক্ত সবুজ মাল্টা

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০২১, ১৭:৩০

নুর উদ্দিন সুমন, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ)

হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর গ্রামে দৃষ্টি কাড়ছে গাছে গাছে ঝুঁলে থাকা বারি-১ জাতের সবুজ মাল্টা। এই মাল্টার বাগান উপজেলার নূরপুরের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ খেজু নামে এক কৃষকের।

মাল্টার বাগান নিয়ে কথা হয় আব্দুল ওয়াদুদ খেজুর সঙ্গে। তিনি জানান, ২০১৮ সালে ২০ শতক জমিতে বারি জাতের মাল্টার ৬০টি চারা রোপণ করেন। রোপণের প্রথম বছরে অল্প মাল্টা আসে।  

খেজু বলেন, এ বছর গাছে গাছে মাল্টার ব্যাপক ফলন এসেছে। বিক্রি শুরু করেছি। তিন বছরে প্রায় দুই লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি হয়েছে। বাগানের পেছনে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বারি-১ জাতের মাল্টা চাষে কোনো কেমিকেল ব্যবহার করেননি বলে জানান তিনি।

বিষমুক্ত হওয়ায় এই মাল্টার বেশ চাহিদা। বিক্রির পাশাপাশি নিজের পরিবারের সদস্যদেরও খুব পছন্দ বলে জানান খেজু। তারা খেয়ে স্বাদ পাচ্ছেন। টাটকা ঘ্রাণে লোকজন এসে বাগান থেকেই মাল্টা কিনে নিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, মাল্টা বাগান থেকে ঘাস সংগ্রহ করে কয়েকটি গরু পালন করছেন তিনি। 

স্থানীয় নূরপুর কৃষি ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, প্রথমে এ কৃষক মাল্টা চাষ করে হতাশ ছিলেন। পরের বছর মাল্টার ফলন দেখে উৎসাহী হন। মাল্টা ক্ষেতে প্রচুর সময় শ্রম দিচ্ছেন এ কৃষক। ফলও পাচ্ছেন। গাছে গাছে মাল্টার সমারোহ দেখে মন ভরে উঠেছে তার।

জহুরুল ইসলাম বলেন, ‌‘মাল্টার ভালো ফলন দেখে আশপাশের চাষিরাও উৎসাহী হচ্ছেন। অনেকেই এখন মাল্টা চাষ করতে চান। আবার অনেকেই বাড়িতে নিয়ে এক-দুটি গাছ রোপণ করছেন।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তমিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘এই সবুজ মাল্টা চাষে কৃষকরা খুবই উৎসাহী হচ্ছেন। নূরপুরের কৃষক আব্দুল ওয়াদুদ খেজুর বারি মাল্টার বাগান দেখে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এটা অবশ্যই ভালো সংবাদ। বিশেষ করে জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যাপকহারে মাল্টা চাষে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সবসময় চাষিদের পাশে রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/কেএম)