‘দেশে সুকুক ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে’

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০২১, ২০:১৯

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ জামাল বলেছেন, বাংলাদেশে সুকুক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পাশাপাশি এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) ‘বাংলাদেশে সুকুক কার্যক্রমের সূচনা’ শীর্ষক এক অনলাইন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

সুকুক হচ্ছে একটি শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি বন্ড। সুকুক একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে সিলমোহর লাগিয়ে কাউকে অধিকার ও দায়িত্ব দেওয়ার আইনি দলিল। প্রচলিত বন্ডে ইস্যুকারীর ঋণের দায়বদ্ধতার উপস্থাপন করে, অপরপক্ষে সুকুক কোনো সম্পত্তির মালিকানা নির্দেশ করে।

আহমেদ জামাল বলেন, বাংলাদেশে সুকুক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এরপরও এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত সুকুকের ক্ষেত্রে আলাদা কোনো আইনি কাঠামো দাঁড় করানো যায়নি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরিলিয়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ কবির হাসান।

বক্তব্য দেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম) মোহাম্মদ সোহেল মোস্তফা সিএফএ, ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা; অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সচিব, ইমপ্রেস ক্যাপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরাস্তু খান; বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারিকুজ্জামান; ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল মওলা।

কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত হোসেন।

সমাপনী বক্তব্যে বিআইবিএম মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, যেসব সুপারিশ এবং মন্তব্য আসছে তা গবেষণা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করবে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রথম বিনিয়োগ সুকুক ইস্যু হয়। বাংলাদেশে দ্বিতীয় ধাপে ‘সুকুক অকশন’ও বিপুল জনপ্রিয়তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি সুকুকও ইস্যু হচ্ছে।

বর্তমানে ইসলামি অর্থনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর একটি হলো ‘সুকুক’। তারল্য ব্যবস্থাপনা, বাজেট ঘাটতি, অবকাঠামো উন্নয়ন, নিরাপদ বিনিয়োগ ও গণ-অংশগ্রহণমূলক বিনিয়োগ হিসেবে ‘সুকুক’ এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী মুসলিম ও অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উভয় দেশগুলোতে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/এসকেএস/জেবি)