হাই হিল জুতা পরলে পঙ্গুত্বের আশঙ্কা রয়েছে!

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৫৭

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

যেসব নারীরা অনেক দিন একটানা হাই হিল জুতা পরেন তাদের পঙ্গুত্বের আশঙ্কা রয়েছে। হাই হিল পরার পর আঙুলের দিকে অর্থাৎ টোয়ের দিকে ভর দিতে হয় বেশি। কিন্তু সাধারণভাবে, স্বাভাবিক অবস্থায় পা বা গোড়ালি বহন করে শরীরের ৬০ শতাংশ ওজন। ফলে হিল পরলে তা থেকে বিপত্তি যে বাধবে, তাতে সন্দেহ নেই।

 

১১ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীদের হিল পরা অনুচিত। কারণ, এটা বাড়ার বয়স । এই সময় পায়ে গঠনগত ত্রুটি হলে তা সারাজীবন থেকে যাবে।

 

দীর্ঘক্ষণ হিল পরলে পায়ে ব্যথা হয়। এটা সকলের জানা। সেই সঙ্গে ‘হ্যামার টো’ হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। হ্যামার টো অর্থাৎ অনেকদিন হিল পরে হাঁটাচলার কারণে টোয়ের আকৃতি বদলাতে থাকে।

 

অনেকে আবার স্টিলেটো পরেন। সেক্ষেত্রে জুতার সামনের দিকটা হয় খুব সরু হয়। দীর্ঘদিন এই টোয়ের দিকটা চাপা জুতা পরার ফলে ‘বুনিয়ন’ হয়। আসলে একটা আঙুলের উপর আর একটা আঙুল খুব চেপে উঠে থাকলে সমস্যা তো হবেই।

 

হাই হিল পরার ফলে গোড়ালিতে ব্যথা হয়। জুতা খোলার পর গোড়ালির নিচের দিকে জ্বালা-জ্বালা ভাব থাকে। চিকিৎসার ভাষায় যাকে বলে ‘প্লান্টার ফ্যাসাইটিস’।

 

অনেকের আবার পায়ের মাসলে ব্যথা হয়। উঁচু হিলে পা মচকে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, সে তো আলাদা।

 

ব্রিটেনের একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ইংরেজদের দেশে নাকি হাই হিল স্যান্ডেল পরার ফলে পড়ে গিয়ে ফ্র্যাকচার হচ্ছে অনেক বেশি। হিল পরলে হাঁটু সামান্য ভাঁজ হয়ে থাকে। সেখানেও সমস্যা আসতে পারে। হাঁটু সামান্য ভাঁজ হয়ে থাকায় টিবিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কম বয়সেই অস্টিওআর্থ্রাইটিস ধরতে পারে। এমনকি পঙ্গুও হয়ে যেতে পারেন।

 

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/এজেড)