২০ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে শাহরুখপুত্রকে

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১৮:২২ | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১৮:২৫

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মাদক মামলায় তৃতীয় দফার জামিন শুনানিতেও জামিন পেলেন না শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের বিশেষ এনডিপিএস আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। কিন্তু এদিনও শাহরুখপুত্রের জামিন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি আদালত। বরং ২০ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টুইট করে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। তারা লিখেছে, ‘প্রমোদতরীতে মাদক-কাণ্ড। মুম্বাইয়ের বিশেষ এনডিপিএস আদালত আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচাদের জামিন শুনানির জন্য ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে।’

এদিকে, বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান নিয়মিত মাদক সেবন করেন বলে বৃহস্পতিবারের শুনানিতে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা মাদক নিয়ন্ত্রক ব্যুরো (এনসিবি)। এদিন আদালতে এই দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনিল সিং।

তিনি বলেন, ‘আরিয়ান খান প্রথমবারের মতো মাদক সেবন করছেন, বিষয়টি এমন নয়। আদালতের সামনে যে প্রমাণ দাখিল করা হয়েছে, তাতে তার নিয়মিত মাদক সেবনের বিষয়টি স্পষ্ট। শেষ কয়েক বছর ধরে এই অভ্যাস রয়েছে তার।’

এছাড়া, আরিয়ানের কাছ থেকে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি এই দাবিও ঠিক নয় বলে উল্লেখ করেন অনিল সিং। শুনানি চলাকালীন শাহরুখপুত্রের দেওয়া জবানবন্দি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আরিয়ান ও তার বন্ধুরা আনন্দ উপভোগ করতেই প্রমোদতরীতে গিয়েছিলেন। তাদের সজ্ঞানেই পার্টিতে মাদক পৌঁছে গিয়েছিল।

গত ২ অক্টোবর আরিয়ান ও তার বন্ধুদের মুম্বাই থেকে গোয়াগামী এক প্রমোদতরীর পার্টি থেকে গ্রেপ্তার করে এনসিবি। অনিল সিংয়ের দাবি, আরিয়ান ও তার বন্ধুদের জন্য ওই পার্টিতে মাদক এসেছিল। তাই মাদকের কথা তারা জানতেন না, এই কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।’

এনসিবির এই আইনজীবী আরও বলেন, আরবাজ মার্চেন্টের থেকে যে মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল, সেগুলো আনা হয়েছিল আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট, প্রতীক গাবা ও আরও একজনের জন্য। মান্নাত (শাহরুখের বাড়ি) থেকে একটি মার্সিটিজ গাড়িতে করে তারা একইসঙ্গে প্রমোদতরীতে গিয়েছিলেন।

গ্রেপ্তারের পর ইতোমধ্যে ১২ দিন মাদক নিয়ন্ত্রক ব্যুরোর হেফাজতে এবং সাত দিন জেল হেফাজতে কাটিয়েছেন আরিয়ান। বৃহস্পতিবারও ছেলেকে জামিনে বের করতে পারলেন না বাবা শাহরুখ ও মা গৌরী। আপাতত তারা ২০ অক্টোবরের দিকে তাকিয়ে। এদিন কী হয় এখন সেটাই দেখার।

ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/এএইচ