‘প্রকল্প নিয়েও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়া দুঃখজনক’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১৯:০৩ | প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৫৭
ফাইল ছবি

একাধিক প্রকল্প নিয়ে টাকা খরচ করেও চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে অনলাইনে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, একাধিক প্রকল্প নিয়ে টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সিটি করপোরেশনকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। সিটি করপোরেশনের মেয়র হচ্ছে নগর পিতা। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে শুধু জলাবদ্ধতা নয়, যেকোনো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

বার বার সচেতন করার পরেও যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেললে জরিমানার আওতায় আনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

জলাবদ্ধতা নিরসনে বিদ্যমান প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে একে অপরকে দোষারোপ না করে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার মাস্টারপ্ল্যান এবং জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসমূহের অবকাঠামোর ডিজাইনের কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে হবে। প্রকৌশলী বা নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টজন যারা আছে তারা ডিজাইন তৈরি করবেন। কিন্তু সেটি বাস্তবতার সঙে সঙ্গতিপূর্ণ কি না তা অবশ্যই বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে।

পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঠিকমত দায়িত্ব পালন করছেন কি না তা ভালোভাবে মনিটরিং করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দিয়ে শুধু কাগজে কলমে রাখলে হবে না, তাদেরকে মাঠে নামিয়ে কাজ করাতে হবে। আর যারা মনিটরিং করবে তাদেরকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, সব পরিচ্ছন্নতা কর্মী যদি ময়লা-আবর্জনা সঠিকভাবে সংগ্রহ করে তাহলে চট্টগ্রাম শহরে কোনো আবর্জনা থাকার কথা নয়। ড্রেন বা খালে ময়লা-আবর্জনা, পলিথিন ফেলা বন্ধ করতে হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/কারই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :