ব্রয়লার-সবজির বাজার চড়া, ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০২১, ১৪:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

শীতের আগে লাগাতার বেড়েই চলছে ব্রয়লার মুরগি আর সবজির দাম। গত সাত দিনে কেজিতে ব্রয়লারের দাম বেড়েছে আগের সপ্তাহের তুলনায় পাঁচ টাকা। কমছে না সবজির দামও। গত সাত দিনে বিভিন্ন সবজিতেও দাম বেড়েই চলছে। তবে শুল্ক প্রত্যাহারের পরদিন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে পেঁয়াজের দর। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার, কালশী বাজার ও খিলগাঁও বাজার ঘুরে বাজার দরের এমন চিত্র দেখা গেছে।

পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি দেশি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ৬৫ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজের জন্য কেজি প্রতি ক্রেতাকে গুণতে হচ্ছে ৬০ টাকা।

অপরিবর্তিত আছে আলুর দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে। ২০০ টাকার ঘর থেকে নেমে এ সপ্তাহে কাঁচামরিচ নেমেছে ১৬০ টাকায়। এ সপ্তাহে কেজিতে আরও ৪০ টাকা কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

সবজির বাজার

শীতের আগে সবজির দাম কিছুটা বাড়ছে। এ সপ্তাহেও বেশ কিছু সবজির দাম কেজি ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ সপ্তাহে সিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, করলা ৬০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ও কাকরোল ৬০ টাকা, গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা।

কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে ভারতীয় টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। শিম ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।

প্রতি পিস চাল কুমড়া মিলছে ৪০ টাকায়, আকারভেদে লাউ কিনতে গুণতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আস্ত মিষ্টি কুমড়া মিলছে ৮০ টাকায়। ফালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। আর কেজি দরে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।

এছাড়া বাঁধা কপি বিক্রি করে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস হিসেবে। একই দামে মিলছে ফুলকপিও। কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা, প্রতি কেজি পেঁপে ২০ টাকা, শসা ৫০ টাকা ও লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

মশলার বাজার

মশলার বাজারে প্রতি কেজি রসুনের দাম ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, চায়না আদা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, হলুদ ১৭০ থেকে ২২০ টাকা এবং শুকনা মরিচ কিনতে ক্রেতাকে গুণতে হচ্ছে দেড়শো থেকে আড়াইশো টাকা পর্যন্ত।

মুদি বাজার

মুদি বাজারে ভারতীয় মুসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। আর দেশি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

অপরিবর্তিত আছে ভোজ্য তেলের দাম। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। বৃহস্পতিবার চিনির উপর থেকে শুল্ক কমালেও চিনির দাম কমেনি। প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে।

চালের বাজার

সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দামে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। এ সপ্তাহে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে, আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা দরে। এছাড়া নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে।

মাংসের বাজার

গত শীতের পর থেকে লাগাতার বেড়ে চলেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। সপ্তাহেও ব্যবধানে কেজিতে আবারও ৫ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। সোনালি বা কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি দরে।

এ সপ্তাহে দাম বেড়েছে ডিমের। লাল ডিম প্রতি ডজনের পেছনে ক্রেতার খরচ ১১০ টাকা। আর হাঁসের ডিমের ডজন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। সোনালি বা কক মুরগির ডিমের দাম বেড়ে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/কারই/এমআর