নিষেধাজ্ঞায়ও ইলিশ শিকার থেমে নেই অসাধু জেলেদের

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০২:১৮

শওকত আলী, চাঁদপুর

চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা- মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও অবাধে মা ইলিশ শিকার চলছে। মা ইলিশ নিধন করা থেকে জেলেরা থেমে নেই, তারা দেদারছে মা ইলিশ শিকার করে যাচ্ছেন নির্বিচারে।

বর্তমান এ প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় চলছে মা ইলিশ শিকার। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে এবং দিনের বেলায় প্রকাশ্যে নদীতে নিষিদ্ধ কারেন্টজাল ফেলে ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে, সরকারের কাছ থেকে সুবিধা ভোগকারী অসাধু জেলেরা। তারা প্রশাসনের হাতে আটকা পড়লে জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়ে আবার মা ইলিশ ও জাটকা শিকারে মেতে উঠেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে চাঁদপুর জেলার নৌ-সীমানার হাইমচর উপজেলার কাটাখালি লঞ্চঘাট এলাকায় জেলেদের মাছ শিকারের এমন চিত্র ধারণ করেছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও সদর উপজেলার রনাগোয়াল থেকে শুরু করে আখনের হাট পর্যন্ত গোপনে ইলিশ শিকার ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এক কেজি কম ওজনের ইলিশের হালি ১৫০০-১৬০০ টাকা। ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশের হালি ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় চাঁদপুরের অসাধু কিছু জেলের সাথে জেলার বাইরে থেকে এসে অনেক জেলে ইলিশ শিকারের কাজে যোগ দেয়। এরপর তারা যৌথভাবে মা ইলিশ হত্যাযজ্ঞ চালায় নির্বিচারে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ অক্টোবর থেকে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের ১৬১টি অভিযানে ১৫২জন জেলে আটক হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে ৫১টি। জাল জব্দ হয়েছে ৯০.৫৭৯ মিটার। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৬৫টি।

প্রবীণ মৎস্য ব্যাবসায়ীরা জানান, প্রশাসনের এত সব অভিযানের পরও মা ইলিশ নিধন ও শিকার বন্ধ করছে না অসাধু জেলেরা। এ জন্য প্রতিটি মৎস্য নিধন এলাকায় ও জেলেপাড়ায় ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/এলএ)