‘বৃষ্টির পানি হার্ভেস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে ১০ শতাংশ হোল্ডিং কর ছাড়’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১৬:২৮

যেসব ভবনে বৃষ্টির পানি হার্ভেস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে সেসব ভবনে হোল্ডিং ট্যাক্স ১০ শতাংশ মওকুফ করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের বলরুমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে ৫০ বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মেয়র আতিকুল বলেন, ‘যেসব ভবনে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের (বৃষ্টির পানি ব্যবহার উপযোগী করে রাখার) ব্যবস্থা থাকবে, সেসব ভবন মালিকদের ১০ শতাংশ হোল্ডিং কর রেয়াত দেয়া হবে।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে যথেষ্ঠ অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিএনসিসি সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’

গণশৌচাগার নির্মাণের লক্ষ্য প্রায় পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে উত্তর সিটি এমনটা জানিয়ে মেয়র বলেন, পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত ৬৩টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ৪৮টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নগরীর অধিকাংশ বাসাবাড়ি এমনকি অভিজাত এলাকার ভবনগুলোতেও কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধনের কার্যকর ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে। নগরীতে অঞ্চলভিত্তিক ফিক্যাল স্লাজ প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে পরিশোধন ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে হবে।’

ডিএনসিসির উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শেষ পর্যায় রয়েছে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানকল্পে সুপরিকল্পিত একাধিক জলাধার প্রয়োজন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কল্যাণপুর জলাধারের জন্য নির্ধারিত ১৭৩ একর জমির মধ্যে মাত্র ৩ একর জমিতে জলাধার রয়েছে আর বাকি ১৭০ একর জমিই অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে। তাই সবাই মিলে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বক্তৃতা করেন।

ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/কারই/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :