সম্ভাবনাময় ৯ খাতে জোর দেওয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৫৩

আমাদের রপ্তানি খাত বেশি মাত্রায় তৈরি পোশাক নির্ভর, এখন সময় এসেছে অন্যান্য খাতগুলোকে নিয়ে কাজ করা। বাণিজ্য সম্মেলনে সম্ভাবনাময় নয়টি খাতের ওপর জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী।

রবিবার ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১’ বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অধিকতর অংশগ্রহণ ও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। আয়োজন করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১’ নামে ভার্চুয়াল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।

সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হবে আগামী ২৬ অক্টোবর। শেষ হবে ১ নভেম্বর। এ উপলক্ষে রবিবার ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিসিসিআইর সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বাণিজ্য সম্মেলনের সার্বিক দিক তুলে ধরেন।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, এ আয়োজন পিপিপি মডেলের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত, যা বাংলাদেশকে উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও নীতি সহায়তার বিষয়সমূহ তুলে ধরবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎসহ অন্যান্য অবকাঠামো খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে, যার সুবিধা নিয়ে আমাদেরকে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, স্বল্পন্নোত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণে পরবর্তী সময়ে আমরা অনেক সুবিধা প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হব, সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদেরকে এখনই উদ্যোগী হতে হবে এবং এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে সম্ভাব্য দেশগুলোর সাথে এফটিএ, পিটিএ স্বাক্ষরসহ নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

এসময় ডিসিসিআইর সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, অবকাঠমো (ফিজিক্যাল, লজেস্টিক অ্যান্ড এনার্জি), আইটি/আইটিইএস এবং ফিনটেক, লেদারগুডস্, ফার্মাসিউটিক্যাল, অটোমোটিভ অ্যান্ড লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক পণ্য, এগ্রো অ্যান্ড ফুড প্রসেসিং, জুট অ্যান্ড টেক্সটাইল, এফএমসিজি অ্যান্ড রিটেইল বিজনেস প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও করণীয় সম্পর্কে বাণিজ্য সম্মেলনে আলোকপাত করা হবে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩৮টি দেশের সর্বমোট ৫৫২টি কোম্পানি সপ্তাহব্যাপী ৪৫০টি বিটুবি’তে অংশগ্রহণ করবে, যার মাধ্যমে নতুন বিনিয়োগ ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইউরোপের অর্থনীতি: নতুন নীতি কাঠামো’, ‘এলডিসি হতে বাংলাদেশের উত্তোরণ ও প্রস্তুতি’, ‘মধ্যপ্রাচ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা’, ‘এশিয়া-প্যাসিফিক ও বাংলাদেশ: অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’, ‘বাংলাদেশ ও আফ্রিকার মধ্যকার বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সহযোগিতা: নতুন দিগন্তের সম্ভাবনা’ এবং ‘বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নে সহায়ক ঋণ প্রক্রিয়া’ শীর্ষক ছয়টি ওয়েবিনার আয়োজন করা হবে, যেখানে সংশ্লিষ্ট খাতের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করবেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ভার্চুয়াল বাণিজ্য সম্মেলনটি বিদেশি বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের কাছে কোভিড মহামারিকালেও ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়সমূহ তুলে ধরা হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ বাণিজ্য সম্মেলন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হবে, যা আমাদের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আয়োজিতব্য বাণিজ্য সম্মেলনটি সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ, যার মাধ্যমে পাঁচটি মহাদেশের সর্বোচ্চসংখ্যক উদ্যোক্তাদের বিটুবি সেশনে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।

সচিব বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরা হবে। যার মাধ্যমে আরও বেশি হারে বিনিয়োগ আকর্ষণ সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭অক্টোবর/এসকেএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :