করোনার ক্যাপসুল ‘মলনুপিরাভির’, অনুমোদনের আগেই কাড়াকাড়ি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
| আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ১১:২৬ | প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ১০:৫৪

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় গেম চেঞ্জার হতে পারে অ্যান্টিভাইরাল ক্যাপসুল 'মলনুপিরাভির'। এটি সংক্রমিত রোগীর মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটির জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে আবেদন করেছে এর উৎপাদক সংস্থা মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মার্ক। অনুমোদন পাওয়ার আগেই ক্যাপসুলটি সংগ্রহে মরিয়া প্রচেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এমন অসম প্রতিযোগিতার ফলে গরিব দেশগুলোর এই ক্যাপসুলটি না পাওয়ার আশঙ্কা আরও জোরদার হয়েছে।

ওষুধের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার জন্য মার্ক অপেক্ষা করে রয়েছে। এই ওষুধের অনুমোদন যদি পাওয়া যায় তবে এটাই করোনা ভাইরাসের প্রথম ওরাল অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা হবে। ইতিমধ্যেই এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রদেশের আটটি দেশ বা অঞ্চল চুক্তিতে সই করেছে বা এই ওষুধ সংগ্রহ করার জন্য কথাবার্তা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে ওষুধ বিশ্লেষক সংস্থা এয়ারফিনিটি। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া, যারা টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করতে বেশ বিলম্ব করেছিল।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন তাদের চিন্তা ওই ওষুধ আশাপ্রদ ফল দেবে বলে কিছু মানুষ টিকাকরণের বিকল্প হিসাবে এই ওষুধকে বেছে নিতে পারেন। অথচ এখনও পর্যন্ত টিকাকরণ করোনাভাইরাসের সেরা প্রতিরোধ।

বিশেষজ্ঞরা এও সতর্ক করে জানিয়েছেন যে, এশিয়ার দেশগুলো যেভাবে এই ওষুধ আগে থেকে মজুত করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে তাতে আবার ধনী দেশগুলোর ভ্যাকসিন ডোজ সংগ্রহ করায় নিম্ন আয়ের দেশগুলো ভ্যাকসিন ডোজ সংগ্রহতে পিছিয়ে পড়ার মতো দৃশ্যের না পুনরাবৃত্তি হয়।

মলনুপিরাভির কি

মলনুপিরাভির একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, যা কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসা করে, যা রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে এড়িয়ে যায়। এক রোগীর যখন কোভিড-১৯ ধরা পড়বে তখন মলনুপিরাভিরের কোর্স শুরু হয়ে যাবে। ২০০ মিলিগ্রামের চারটে ক্যাপসুল দিনে দু'‌বার করে পাঁচদিন খেতে হবে, মোট ৪০টি ক্যাপসুল। ভ্যাকসিনের বিপরীত, যা রোগ প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা বাড়ায়, মলনুপিরাভির এই ভাইরাসের প্রতিরূপকে ব্যাহত করে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।

মলনুপিরাভিরের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে টিকা হয়নি এমন ৭০০ জনের ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে যে প্লেসবো নেওয়া রোগীদের তুলনায় এই পিল হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি হ্রাস করে ও ৫০ শতাংশ মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।

করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই রোগীদের মলনুপিরাভির ওষুধ বা প্লেসবো দেওয়া হয় পাঁচদিনের মাথায়। ২৯ দিনের মাথায় দেখা যায় যে পিল নেওয়া রোগীদের কেউই মারা যায়নি। অথচ প্লেসবো দেওয়া রোগীদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়। মলনুপিরাভিরের সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি এবং এই তথ্যের কোনও পিয়ার-পর্যালোচনা বা প্রকাশিত হয়নি।

ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

কলকাতা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ মমতার

ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার, পালালো শতাধিক বন্দি 

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে ১৩ রাজ্যের ৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ শুক্রবার

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে চায় আর্জেন্টিনা, কিন্তু কেন?

স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, দায়িত্বপালন থেকে বিরত থাকবেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী 

ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: সিরিয়া কি নতুন যুদ্ধক্ষেত্র হবে?

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিবে জ্যামাইকা

পাকিস্তানের পর এবার শ্রীলঙ্কা সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট

বিরল সফরে ইরানে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :