শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

খুলনা ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ২২:৫৪ | প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ২২:৫২

করোনা মাহামারী পর প্রায় দেড় বছর পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও ক্যাম্পাসে প্রথমদিনে উপস্থিতির হার ছিলো খুবই কম। তবে এত দিন পর প্রিয় ক্যাম্পাসে আসতে পেরে খুবই খুশি শিক্ষার্থীরা। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলে অন্তত আড়াই হাজার ছাত্রছাত্রীর ব্যবস্থা থাকলেও প্রথমদিনে হলে এসেছেন সর্বোচ্চ ২০০ জন।

ছাত্রদের তিনটি এবং ছাত্রীদের দুইটি হল প্রস্তুত করা হলেও সেখানে বরাদ্দ থাকা বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীই হলে আসেনি। কর্তৃপক্ষ বলছে ইতোমধ্যে শিক্ষা কার্যক্রমের ক্যালেন্ডার ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবর থেকেই শুরু হবে ক্লাস। তার আগেই সব ছাত্রছাত্রী হলে এসে উঠবেন।

ফের ক্যাম্পাস মুখর হবে ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায়। এছাড়া করোনা সংক্রমণ রোধে কর্তৃপক্ষ জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপর। নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো। উপস্থিত সব শিক্ষার্থীর মুখে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক ছিল। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাস্ক বিতরণ ও হ্যান্ডস্যানেটারাইজ দিয়ে হাত পরিস্কার করার ব্যবস্থা দেখা গেছে।

শিক্ষার্থী ফাহাদ রহমান বলেন, এতদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয় ক্যাম্পাসে এসেছি। আমার খুবই ভালো লাগছে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সব কিছু আগের মতো স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তবে আমরা সব শিক্ষার্থী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করছি। পাশাপাশি মুখে মাস্ক ব্যবহার করছি। এছাড়া আমাদের সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ তদারকি করছেন দ্বায়িত্বরত শিক্ষকরা।

আবাসিক হলে ফিরে আসা শিক্ষার্থীরাও কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুশি। তবে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর যেন সেশন জট না হয় এবং সেই সঙ্গে অনলাইনে নেয়া পরীক্ষাগুলো ফের স্বশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে নেয়ার কথাও জানান একাধিক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থী মুরাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘ সময় ঘরবন্দি হয়ে ছিলাম। আজ প্রিয় ক্যাম্পাসে এসেছি। তবে বৈরি আবহাওয়া হওয়ার কারণে অনেক বন্ধু আসতে পারেনি। করোনাকালে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় অনেক মিস করছি মামার চায়ের দোকান। সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের মাঠে বসে গিটার হাতে নিয়ে গানের আড্ডা, স্যারদের বকুনি।

মুরাদের ভাষায়, একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সবচেয়ে আনন্দের দিনগুলো হলো তার প্রিয় শিক্ষাঙ্গণ। এই জায়গাটি হলো একটি আবেগ অনভূতির জায়গা। আমরা এতদিন ঘরবন্দি অবস্থায় খুবই মিস করছিলাম আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসকে। তবে এখন খুবই খুশি এবং মনের মধ্যে প্রশান্তি বয়ে যাচ্ছে ক্যম্পাস খোলার কারণে। স্মৃতিময় হয়ে উঠুক ক্যাম্পাসের এই দিনগুলো। প্রিয় সহপাঠীদের সঙ্গে আগের মতো চোখের দেখা হবে প্রাণের কথা হবে। রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা হবে। সব মিলিয়ে খুবই ভালো লাগছে। আর যেন এমন বিষাদময় দিন সামনে না আসে করোনা মহামারী থেকে সবাইকে ভালো রাখুক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মাহমুদ হাসান বলেন, প্রতিটি হলেই স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। কোভিড প্রতিরোধক টিকা সনদ কার্ড ও নিবন্ধন কার্ড দেখে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে উঠানো হচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা যেন কোনো সেশন জটে না পড়েন। সেই ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে ততদিন পর্যন্ত ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যে ববি ছাত্রীর আত্মহত্যা

দাবি না মানায় সাত দিনের ক্লাস বর্জন কুবি শিক্ষক সমিতির

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের

নতুন রূপে সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রিয় লাইব্রেরি

জাপানের সুমিতমো করপোরেশন বৃত্তি পেলেন ঢাবির ৪০ শিক্ষার্থী

অবন্তিকার আত্মহত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জবিতে মানববন্ধন 

শাবিপ্রবিতে রমজানে খাবার নিয়ে ‘মিল বিপাকে’ ফজিলাতুন্নেসা হলের শিক্ষার্থীরা

ববিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে পচাবাসি খাবার পরিবেশন, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

জাবির নতুন প্রক্টর হওয়ার দৌড়ে যারা এগিয়ে

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কুবিতে বঙ্গবন্ধু লার্নিং হাব উদ্বোধন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :