পিএসসির প্রশ্ন ফাঁস করলে ১০ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১৩:১৯ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১৪:৪৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রশ্নপত্র ফাঁস করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন আইন, ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইনটিতে পিএসসি আওতাধীন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আর প্রশ্নপত্র জালিয়াতিতে যুক্ত থাকলে সর্বোচ্চ দুই বছরের সাজার বিধান রাখা হয়েছে।

সচিব বলেন, ১৯৭৭ সালের একটি অধ্যাদেশ দিয়ে পিএসসি চলে আসছে। একটি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়নের জন্য এর খসড়া পেশ করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইনে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষাসংক্রান্ত কিছু অপরাধের কথা বলা হয়েছে। কেউ যদি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করে তাহলে সর্বোচ্চ দুই বছর, সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড হতে পারে। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। সর্বনিম্ন তিন বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। বেশ শক্ত একটা স্ট্যান্ড নেওয়া হয়েছে। জরিমানাটা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি।’

সচিব জানান, উত্তরপত্রের জালিয়াতির সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন, তাদের সর্বোচ্চ দুই বছর ও সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড হতে পারে। কোনো পরীক্ষার্থী যদি অসদুপায় অবলম্বন করে বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে অসদুপায়ে সহযোগিতা করে তাহলে সর্বোচ্চ দুই বছর ও সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আর জানান, পরীক্ষা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি যদি কোনো অপরাধ করে তাহলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে। মোবাইল কোর্টের মধ্যেও এটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমেও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে যারা যুক্ত থাকবে তাদের বিচারের আওতায় এনে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি দেওয়া যেতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/জেবি)