লন্ডনে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন পালিত

মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন
 | প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১৪:৪৩

লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্টপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন রাসেল দিবস পালিত হয়েছে। ১৮ অক্টোবর লন্ডন সময় সন্ধ্যে সাতটায় ইস্ট লন্ডনের ইমপ্রেশন ইভেন্ট হলে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এ জন্মদিনের আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিল বিভাগের বিচারপতি ব্যারিস্টার ঈমান আলী। অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ রাসেলের একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শণ করা হয়। সমবেত জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হলে প্রথমে কবিতা আবৃত্তি করেন টিভি প্রেজেন্টার উর্মি মাজহার।

প্রধান অতিথি সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু যেন তার ন্যায্য অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে সে লক্ষ্যেই বাংলাদেশ সরকার এই দিনটিকে রাসেল দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।’

বিচারপতি ঈমান আলী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশু অপরাধীদের বিচার হয় ক্রাইন কোর্টে অপরাধী হলে থাকতে হয় জেলে, বাংলাদেশে শিশু অপরাধীদের অপরাধী হলে তাদের পাঠানো হয় শিশু সংশোধনাগারে, এমন আইন আর বিশ্বের কোথাও নেই।’

ঈমান আলী ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ব্রিটেন থেকে কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের ফান্ড সংগ্রহ করেন এবং ব্রিটেন প্রবাসীদের মুক্তিযুদ্ধের অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং বর্তমান প্রজন্মের প্রতিটি ব্রিটিশ বাঙ্গালি যেন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে তার জন্যে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান।

অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, ‘ব্রিটেন থেকে দেশের বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের আদালত কর্তৃক কয়েকজন সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী এই ব্রিটেনে পালিয়ে রয়েছে। তাদের সাজা কার্যকর করতে বাংলাদেশের কাছে অপরাধীদের হস্তান্তর করতে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এছাড়া অন্য বক্তারা বলেন, ‘শেখ রাসেলের মতো বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোথাও যেন কোন নিষ্পাপ শিশুকে এভাবে প্রাণ দিতে না হয়। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) যুদ্ধক্ষেত্রেও নারী এবং শিশুদের নিরাপত্তার কথা বলেছন। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী শিশুহত্যা অমার্জনীয় অপরাধ। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশে যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড হয়েছে, এমন নজির বিশ্বের আর কোথাও নেই। খুনিদের অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে রয়েছে। মানবতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে এসব অপরাধীদের বিচারের জন্যে বাংলাদেশের কাছে হস্থান্তর করা উচিত।’

কমিউনিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন- মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, প্রবীণ মুরব্বী প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক প্রমুখ। হাইকমিশনার অতিথি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দেন। কেককাটা ও শিশু শিল্পীদের মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।

(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :