লড়াই করল পাপুয়া নিউগিনি, সুপার টুয়েলভের পথে স্কটল্যান্ড

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১৯:০১ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২১, ০০:১৮

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ওমানের আল আমিরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের প্রথমপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৬৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত হারের দিকেই এগোচ্ছিল নবাগত পাপুয়া নিউগিনি। কিন্তু নরমান হানুয়া এবং  কিপলিন ডোরিঙার ব্যাটে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছে দলটি। হেরেছে মাত্র ১৭ রানে। এর ফলে সেরা টুয়েভসের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল স্কটিশরা।

স্কটল্যান্ডের দেওয়া ১৬৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো সূচনার উপহার দিতে পারেননি টনি উরা এবং লেগা সিয়াকা। ২ রানে টনি এবং ৯ রানে ফেরেন সিয়াকা। এরপর ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি পরের তিন ব্যাটসম্যানও। ১৮ রানে আসাদ ভালা, ১ রানে আমিনি এবং ২ রানে ফেরেন চার্লস আমিনি। ফলে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৫ রান তুলতে হারিয়ে বসে ৫ উইকেট।

এ সময় মনে হচ্ছিল সহজ জয়ই পেতে যাচ্ছে স্কটিশরা। কিন্তু স্কটল্যান্ডকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ব্যাট হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন নরমান ভানুয়া। প্রথমে সেসে বাও এবং পরে কিপলিন ডোরিঙাকে নিয়ে দলকে নতুন করে জয়ের স্বপ্নই দেখাতে থাকেন এই ক্রিকেটার।

তবে ২৪ রানে বাও এবং ১৮ রানে ডোরিঙা সাজঘরে ফিরলে দলকে আর জয়ের স্বাদ এনে দিতে পারেনি তিনি। আউট হওয়ার পূর্বে করেন ৪৭ রান। এছাড়া চাদ সোপার ১৬ এবং নোসাইনা পোকানা করেন ১ রান। আর ৬ রানে অপরাজিত থাকেন কাবুয়া মোরেয়া।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পিএনজির পেসারদের দাপুটে বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি স্কটল্যান্ডেরও। পাওয়ার প্লের ছয় ওভার শেষে মাত্র ২ ওপেনারকে হারিয়ে মাত্র ৩৭ রান তুলে তারা। ১৫ রানে জর্জ মুনশি এবং মাত্র ৬ রানে অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার আউট হন।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে চাপে পড়া দলের হয়ে ক্রিজে খুঁটি গড়ে ব্যাট করতে থাকেন ম্যাথু ক্রস এবং রিচি বেরিংটন। এ সময় দুজন মিলে মাত্র ৬৫ বলে ৯২ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় স্কোরের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন।

৩৬ বলে ৪৫ রান তুলে ক্রস সাজঘরে ফিরলেও ব্যক্তিগত অর্ধশতক না করে থামেননি রিচি বেরিংটন। আউট হওয়ার পূর্বে ৭০ রানের এক শৈল্পিক ইনিংস খেলেন তিনি। ৪৯ বলে খেলা এই ইনিংসটি ছয়টি চার এবং তিনটি ছক্কায় সাজানো।

এই দুজন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর দলীয় রানের চাকায় আবারও মন্থর চলে আসে। শেষদিকে স্কটিশ ব্যাটসম্যানরা ছিলে আসা-যাওয়ার মধ্যেই। আউট হওয়ার আগে ১০ রানে কলাম ম্যাকলয়েড, ৯ রানে মিচেল লেস্ক, ২ রানে ক্রিস গ্রেভস এবং শূন্যরানে ফেরেন ক্রিস ডেভয়। আর শূন্যরানে অপরাজিত ছিলেন আলাসদার ইভান্স।

পাপুয়া নিউগিনির পক্ষে সবোচ্চ ৪টি উইকেট নেন কাবুয়া মোরেয়া। তিনটি উইকেট পেয়েছেন চাদ সোপার। এছাড়া একটি উইকেট পেয়েছেন সিমোন আতাই।  

(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/এমএম)