‘২০৩০-এর মধ্যে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ সক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টন হবে’

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে দেশে সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। দেশে কোনো খাদ্য সংকট হয়নি, খাদ্যের অভাবে কেউ না খেয়ে মারা যায়নি। এমন কোনো খাত নাই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। অন্যদিকে বিএনপি দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখতে পায় না। অথচ শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফলভোগী দেশের সবাই।’

মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত দরিদ্র, অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং দুর্যোগ প্রবণ এলাকার জনগোষ্ঠীর নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণের জন্য হাউজহোল্ড সাইলো সরবরাহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে সাইলো বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে স্মার্ট কার্ড প্রবর্তন করা হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে খাদ্য সহায়তা বিতরণে আরও সচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। সরকার খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০০ পেডি সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। আধুনিক এ সাইলোগুলো হবে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। কৃষকের ভেজা ধান সংগ্রহ করে এতে প্রক্রিয়াকরণ হবে। কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হবে।

সম্প্রতি একনেকে ৩০টি সাইলো নির্মাণের অনুমতি পাওয়া গেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ সক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে খাদ্য মন্ত্রী বলেন, যে দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না জনতার আদালতে তাদের বিচার হওয়া উচিৎ। গণতন্ত্র হত্যাকারীদের নির্বাচন থেকে জনগনই তাদেরকে বয়কট করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনও নির্বাচন থেকে পালিয়ে যায়নি ভবিষ্যতেও যাবে না।

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মমতাজ বেগম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমান, অতিরিক্ত সচিব মো. খুরশিদ ইকবাল রেজভী, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৫৫টি উপজেলায় সর্বমোট তিন লাখ পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে। মানিকগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলায় মোট ১৩ হাজার পারিবারিক সাইলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে। এরমধ্যে শিবালয়ে পাঁচ হাজার, দৌলতপুরে চার হাজার এবং হরিরামপুরে চার হাজার পিস পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে। দুর্যোগকালে প্রতিটি পারিবারিক সাইলাতে ৪০ কেজি ধান অথবা ৫৬ কেজি চাল অথবা ৭০ লিটার পানি সংরক্ষণ করা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/কেএম)