পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট কাটাতে ১৩০০ কোটির তহবিল আসছে, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০২১, ২২:১৭ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২১, ১৪:২২

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট দূর করতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এজন্য প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার তহবিল আসছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার সাড়ে তিনটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এ বৈঠকে বসে বিএসইসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, বিএমবিএ সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান,ডিবিএ সভাপতি শরীফ আনোয়ারসহ শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিরা।

জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োকারীদের জন্য গঠিত ৯০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই ফান্ডের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে এই ফান্ডে ১৩৬ কোটি টাকার মতো জমা আছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর আগের নিয়মে এখান থেকে ঋণ নিতে পারবে।

অন্যদিকে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে এখন পর্যন্ত চারশত কোটি টাকার মতো জমা পড়েছে। এই টাকা কীভাবে বাজারের উন্নয়নে দেওয়া যায়, সেটি নিয়ে কমিশন কাজ করছে বলে জানা গেছে।

তহবিল বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম  বলেন, তারল্য সংকট দূর করার জন্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারমধ্যে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি বন্ড ইস্যু করতে চায়, তাহলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যদিকে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

মোহাম্মদ রেজাউল করিম  বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োকারীদের জন্য গঠিত ৯০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের ফান্ডের মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানো হয়েছে। ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকাররা এখান থেকে ঋণ নিতে পারবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশিদ লালী ঢাকা টাইমসকে বলেন, অনেকদিন আগেই বলা হয়েছিল। এখানো আসেনি। গতকাল হয়তো আবারও বলা হলো। কিন্তু আমি যতটুকু জানি, ৮৫০ কোটি টাকার একটা রিভলভিং ফান্ড সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদনের কথা আছে। সেটা কাজ চলছে। আশা করা যায় সরকার খুব শিগগির অনুমোদন দিয়ে দিবে। এই তহবিলটির কাজ হবে যখন বাজার খারাপ হবে তখন সেখান থেকে টাকা নিবে। আবার বাজার ভালো হলে টাকা ফেরত দিবে। এ ধরনের তহবিল আসলে বাজারের সক্ষমতা আরও বাড়বে।’

ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/এসকেএস/ইএস