প্রেমে সেরা সমবয়সী সঙ্গী

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৪৯

সামাজিক জীবনে একাকীত্ব দূর করতে মানুষ বন্ধুর খোঁজ করত। আর এখন প্রেমিক-প্রেমিকার খোঁজ করে। প্রেম এমন একটি বিষয় যা হঠাৎ করেই হয়ে যায়। কাউকে অনেকদিন যাবৎ দেখতে দেখতে বা কথা বলতে বলতে আমরা একসময় একে-অপরের প্রতি দুর্বল হই, হয়ত এইভাবেই প্রেমের সূত্রপাত। তবে স্বাভাবিক জীবনে একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠার মধ্যে জড়িয়ে থাকে অনেক স্মৃতি। সেই সঙ্গে এক্ষেত্রে দুজনেই প্রায় সমমনস্ক হন। একে অপরের চাহিদা ভালো করে বুঝতে পারেন। চাওয়া, পাওয়া , লক্ষ্য এই ব্যাপারে দুজনেই থাকে অবিচল।

সমবয়সী যুগলদের মধ্যে সম্পর্ক বেশি স্থায়ী হয়। সেই সঙ্গে প্রেম জীবনও হয় সুখের। কারণ একসঙ্গে বেড়ে ওঠায় অনেক কিছু শেখা যায়। সব সময় যে চলার পথ মসৃণ হবে এমনটা নয়। অনেক ওঠা পড়া থাকে। আর এভাবেই ভরে ওঠে অভিজ্ঞতার ঝুলি। একে অপরকে বেশি বুঝতে পারেন। আরও যেসব কারণে সমবয়সী সঙ্গী সম্পর্কের জন্য সেরা।

সহজেই একে অন্যকে বোঝে একে অন্যকে সহজেই বোঝে কারণ বয়সের ব্যাবধান খুব একটা থাকে না। ঝামেলা, ঝগড়া হলেও পরক্ষণে তা কিন্তু ঠিক হয়ে যায়। দীর্ঘদিন মান-অভিমানের পালা চলে না। সেই সঙ্গে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান সব বজায় থাকে। সেই সঙ্গে বাড়ে নির্ভরযোগ্যতাও।

ভুল করলে সরি বলার মানসিকতা থাকে মানুষ মাত্রই ভুল। ভুল করে মানুষ। সেই ভুল থেকে আমরা পরবর্তীতে শিক্ষা নিই। কিন্তু দোষ স্বীকারের মধ্যে কোনও রকম লজ্জা নেই। আর সমবয়সীদের মধ্যে এই মানসিকতা থাকে। দোষ স্বীকার করলে রাগ কমে, বরং ভালোবাসা বাড়ে অনেকটাই।

অ্যাডভেঞ্চারের নেশা থাকে প্রেম কম বরং বন্ধুত্ব বেশি হয় সমবয়সী যুগলদের মধ্যে । ফলে ঝুঁকি নিতেও কিন্তু তারা ভয় পান না। ইচ্ছে হলেই কোনও দুঃসাহসিক অভিযান সেরে ফেলার মতো মানসিকতা এদের মধ্যে থাকে। যার ফলে একজোট হয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন।

একে অন্যের পাশে থাকে সব সময় অনেক সময় সমবয়সী হওয়ায় চাহিদাটা তাদের মধ্যে একই রকম থাকে। ফলে সঙ্গী কী চাইছেন, তার ইচ্ছেপূরণ, স্বপ্ন এসবে সব সময় পাশে থাকেন আরেকজন। সাহায্য করেন, উপদেশ দেন। এভাবেই তারা সফল ভাবে ভবিষ্যতের পথে হাঁটেন। অনেক ছোট ছোট মুহূর্ত ভাগ করে নেন।

সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতেই তাদের ভালোবাসেন সমবয়সী হলে একসঙ্গে সময় কাটানোর একটা মানসিকতা থাকে। একসঙ্গে আড্ডা, নিজেদের পছন্দের খাবার বানানো, পছন্দের সিরিজ দেখা সব মিলিয়ে একটা ইতিবাচকতার লক্ষণ থাকে। সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে সন্দেহ প্রবণতা কম। একে অপরের হাত শক্ত করে ধরেই অনায়াসে পেরিয়ে যান কঠিন বাধা।

ঢাকাটাইমস/২১অক্টোবর/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :