সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও প্রোটেকশন আইন দাবি

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২১, ১৯:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দির, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুট-পাট, নারী নির্যাতন ও পূজারী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠন।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ সংখ্যালঘু প্রোটেকশন আইন ও হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের বিচার দ্রুত ট্রাইব্যুনালে করার দাবি জানান।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শংকর দাস বলেন, ‘যারা হত্যাকারী লুণ্ঠনকারী নির্যাতনকারী তাদের বিচার করতে হবে। আমরা আজ হিন্দু সম্প্রদায়ের সারা বাংলাদেশের হিন্দুরা রাজপথে নেমেছি। অতএব আমাদেরকে তোমরা দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা জানি আমরা ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ করেছি। স্বাধীন দেশে কী পেলাম আমরা। একের পর এক দেখলাম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। এরশাদ পতনের আগে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন করেছে, এরশাদ টিকতে পারেনি। বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ভোলায় আগুন জ্বালিয়েছেন। তার পরিবার ধ্বংস হয়েছে।’

শংকর দাস বলেন, ‘আজকে আমরা বাংলাদেশের প্রায় চার কোটি সংখ্যালঘু আছি। পৃথিবীর বহু রাষ্ট্র আছে যেখানে এক কোটির বেশি লোক নাই। তাই বলছি আমরা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হতে পারি, উপমহাদেশে সংখ্যালঘু নই। অতএব সাবধান করে দিচ্ছি, যদি হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলে আর যদি অন্যায় হয় একটা হিন্দুও ঘরে বসে থাকবে না। রাজপথে নেমে আসবে। আমরা অবিলম্বে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় তৈরি করুন। সংখ্যালঘু প্রোটেকশন আইন বানান। হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের বিচার দ্রুত ট্রাইব্যুনালে করুন।’

(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/আরকে/জেবি)