১৫ বছর আটকে থাকা সেই শিশু পার্কটির যাত্রা

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২১, ২১:৩৮ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২১, ২১:৪১

সিলেট ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে নামকরণ জটিলতায় প্রায় ১৫ বছর ধরে আটকে থাকা শিশু পার্কটি অবশেষে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। পার্কটির নামকরণ করা হয়েছে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্ক’। শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্কটি উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

২০০৬ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের উদ্যোগে এই পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তখন মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন স্থাপনসহ পার্কের অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়। মধ্যখানে প্রায় আট বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে পার্কটি। এরপর ২০১৩ সালে আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরে পার্কটি চালুর উদ্যোগ নেন। চীন থেকে আনা হয় বিভিন্ন ধরনের রাইড।

২০১৭ সালে শুরু হয় রাইড বসানো, বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের কাজ। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সিসিকের ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়। এ বাজেটে ওই পার্কটির জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে দুই কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা জানান মেয়র আরিফ। পার্কটিতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নামে এই প্রথম একটি প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করায় সিলেট সিটি করপোরেশনকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এটাকে সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনের উপহার হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলে বিশ্ববরেণ্য নেতা, জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে আরও একটি প্রতিষ্ঠান করতে চায় সিলেটবাসী।

এর আগে প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ অতিথিদের নিয়ে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্কের’ নামফলক উন্মোচন করেন।

কাউন্সিলর আজম খানের সঞ্চালনায় পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মফিজুর উদ্দিন আহমদ, এসএমপি কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ।

পার্কটিতে শিশুদের বিনোদনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে নয়টি অত্যাধুনিক রাইড। এর মধ্যে ১৮টি আসন বিশিষ্ট ‘মেরি গো রাউন্ড’, জাম্প ফ্রগে রয়েছে ছয়টি আসন, ২৬ জন যাত্রী নিয়ে নদীর তীর ঘুরে পার্কের ট্রেন স্টেশনে আসবে ‘ভিজিটিং ট্রেইন, এক সাথে ১৬ জন শিশু উপভোগ করতে পারবে ‘টুইস্টার’, পাইরেটস অব ক্যারিবিয়ান বুটে রয়েছে ২৪টি আসন, বাম্পার কারে পাঁচজন, আধুনিক মনো রেলে একসাথে ৪২ জন শিশু ভ্রমণ করতে পারবে। এছাড়া ম্যাজিক প্যারাসুটে ১৮ জন ও হানি সুইংয়ে একসাথে ১৬ জন উপভোগের সুযোগ পাবে।

(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/জেবি)