বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি, হতাশ ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০০:৫৮ | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০১:০০

জুনাইদ কবির, ঠাকুরগাঁও

উত্তরের জেলা ঠাকুরাগাঁও। ঠাকুরগাঁও জেলায় ভারী কোন শিল্প কারখানা না থাকায় কৃষি কাজই এ এলাকার কৃষকদের একমাত্র আশা ভরসা। টানা দুই দিনের বৃষ্টিপাতে ও দমকা বাতাসে ঠাকুরগাঁও জেলার শতশত বিঘা আমন ধানের ক্ষেত মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এছাড়াও আমন চাষিদের পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে আগাম শীতকালীন সবজি ও আলু চাষিদের।

সোমবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া এই ঝড়ো বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষতি না হলেও জেলার প্রায় সহস্র হেক্টর জমির আমন ধান, আলুসহ বিভিন্ন সবজির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। মাত্র পনের থেকে বিশ দিন পরে যে ধান কৃষকের গোলায় উঠত, হঠাৎ এই বৃষ্টিতে কৃষকদের স্বপ্ন এক নিমেষেই ভেঙে গেছে। এবার আমন মৌসুমে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়ে হতাশায় ভুগচ্ছেন জেলার কৃষকরা।

কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় এবার ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬ হাজার ১৮০ হেক্টর ধান বাতাসে হেলে পড়েছে। গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ ৫ হাজার ৪১৭ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এছাড়াও আগাম শীতকালীন সবজির জমি ৬১৫ হেক্টর জমি অতিবর্ষণের কবলে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও ২৫৫ হেক্টর আলুর জমিতে পানি জমেছে।  

কৃষকরা জানান, যখন বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল তখন বৃষ্টি হয়নি। আর এখন অতি বৃষ্টি ও বাতাসের ফলে ধান গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। যা অতুলনীয় ক্ষতি। এছাড়াও গ্রীষ্মকালীন ও আগাম শীতকালীন সবজি মুলা, আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এতে সরকারি সহযোগিতা পেলে কৃষকদের কিছুটা ক্ষতি পূরণ হবে বলে জানান তারা। 

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে এ পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তা নির্ণয় করা সম্ভব হবে। আমরা কৃষকদের পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছি, আবহাওয়া খড়া হলে মাঠ থেকে দ্রুত ধান সংরক্ষণ করার। অন্যদিকে যেসব জমির ধানে সবে মাত্র শীষ এসেছে, সেগুলো গোছা করে তুলে দিলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। তবে সবজি আবাদের জন্য যেসব জমি প্রস্তুত করা হয়েছিল, সেগুলোর পানি শোষণে কিছুদিন সময় লাগতে পারে। এতে করে শীতকালীন সবজি আবাদ এবার একটু দেরি হতে পারে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/এলএ)