ধামইরহাটে গ্যাস সিলিন্ডারের যত্রতত্র ব্যবহারে দুর্ঘটনার শঙ্কা

অরিন্দম মাহমুদ, ধামইরহাট (নওগাঁ)
 | প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০১:০৯

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় যত্রতত্র বেড়েছে পেট্রোলিয়াম জাতীয় (এলপি) গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার। এসব গ্যাস সিলিন্ডার রাস্তাঘাটের আশেপাশে ফুটপাতে, বাজার এলাকা, সড়কের মোড়সহ যেখানে সেখানে বিপজ্জনক হারে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দিনদিন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।

সরোজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ধামইরহাট বাজার, আমাইতাড়া, ফার্সিপাড়া, হরিতকি ডাঙ্গা, মঙ্গলবাড়ী বাজারসহ গ্রামের বিভিন্ন এলাকার মোড়ে চায়ের দোকান, খাবারের হোটেল-রেস্তোরাঁয় নিয়ম-নীতির কোনো তোয়াক্কা না করেই অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে এসব গ্যাসের সিলিন্ডার।

শুধু তাই নয়, প্রতিদিন সকাল হলেই চায়ের দোকান হোটেল-রেস্তোরাঁয় জ্বলন্ত চুলার পাশে এসব গ্যাস সিলিন্ডার রেখে চাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার তৈরি করতে দেখা যায়। এসব স্থায়ী বা অস্থায়ী কোন দোকানে (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইলেন্স, নিরাপত্তা সরঞ্জামসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার বা ঝুঁকিমুক্ত কোন সংরক্ষণাগার নেই। এতে করে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে গেলে জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া অনেকটাই দুরুহ হয়ে পড়বে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

পূর্ব বাজারে চা দোকানি আব্দুল চালাক বলেন, খড়ি দিয়ে চুলা জ্বালাতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে শীতের সময় চুলা জ্বলতে চায় না, ধোয়া হয়। কিন্তু গ্যাস সিলিন্ডারে এগুলোর ঝামেলায় নেই। খুব সহজে দুধ থেকে চা গরম করে কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।

দোকানে চা খেতে এসে আব্দুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের কোন নজরদারি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা হোটেল-রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকানে এসব এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার অবাধে বিক্রি করেন। ফলে যত্রতত্র বেড়েছে এর অপব্যবহার।

যুবনেতা আবু ইউসুফ মুর্তজা বলেন, বিশেষ করে সড়কের ফুটপাতে অনুমোদনহীন চায়ের দোকানিরা যেভাবে সিলিন্ডার ব্যবহার করেন, তাতে পথচারীসহ আশপাশের দোকানদার ও সাধারণ জনগণকে প্রতিদিন ঝুঁকির মুখে আতঙ্কিত অবস্থায় থাকতে হয়। বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগে এসব ব্যাপারে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ী মনোজ কুমার সাহা বলেন, নজিপুরের ডিলাররা বিভিন্ন কোম্পানির (নাভানা, ওমারা, জি গ্যাস) গ্যাস সিলিন্ডার আমাদের কাছে এনে বিক্রয় করেন। আমরা তাদের কাছ থেকে কিনে সাধারণ কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করি।

পত্নীতলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন লিডার আবু রায়হান বলেন, খোলাবাজারে অনুমোদনহীনভাবে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার ও বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। জনগণকে সচেতন করতে আমরা প্রতিদিন মাঠে কাজ করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গণপতি রায় বলেন, আমাদের ভ্রাম্যমাণ টিমকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪অক্টোবর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :