পরীমনির রিমান্ডের ব্যাখ্যা: এক সপ্তাহ সময় নিলেন দুই বিচারক
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে হাইকোর্টে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে এক সপ্তাহ সময় নিয়েছেন দুই বিচারক।
রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে সময় আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়।
এদিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও শুনানি হয়নি। আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে দুই বিচারকের পক্ষে আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল এক সপ্তাহ সময়ের আরজি জানান। তখন আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে দুই বিচারক লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তবে তাতে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছিলেন হাইকোর্ট। গত ২৯ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত শুনানি শুরু হলে বিচারকের পক্ষে আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল আদালতকে বলেন, ‘মাই লর্ড কী কারণে ওনারা (রিমান্ড) দিয়েছেন তা বলেছেন।’ সে সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চকে বলেন, ‘মাই লর্ড ওনারা ইয়াং অফিসার। ঠিকমতো হয়ত ব্যাখ্যাটা দিতে পারেননি। আর ওনারা ক্ষমাও চেয়েছেন।’
তখন আদালত বলেন, ‘আচ্ছা আবার তাহলে তারা ব্যাখ্যা দিক। আমরা পরবর্তী শুনানির জন্য ২৪ অক্টোবর দিন রাখছি।’
গত ২ সেপ্টেম্বর এক আদেশে পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার রিমান্ড মঞ্জুর করার বিষয়ে দুই বিচারককে ১০ দিনের মধ্যে তাদের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলেন হাইকোর্ট।
ওইদিন হাইকোর্ট বলেন, ‘দুই বিচারকের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে তাদের তলব করা হতে পারে।’ এছাড়া ওইদিন হাইকোর্ট তার আদেশে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফাকে ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার নথিসহ (কেস ডকেট) আদালতে হাজির হতে বলেন। গত ৪ আগস্ট বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে বনানী থানায় পরীমনির নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র্যাব।
এরপর তিন দফায় পরীমনিকে মোট সাতদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ১৯ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য রাখেন। তবে পরদিন জামিন আবেদন দ্রুত বা নির্ধারিত সময়ের আগে শুনানি চেয়ে আবেদন করেন পরীমনি।
জামিন না পেয়ে গত ২২ আগস্টের দায়রা জজ আদালতের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন এই চিত্রনায়িকা। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। এছাড়াও রুলে পরীমনির জামিন শুনানি ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে গত ২২ আগস্টে বিচারিক আদালতের দেয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তাও জানতে চান। রুল শুনানির জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। এরই মধ্যে গত ৩১ আগস্ট পরীমনিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত।
ঢাকাটাইমস/২৪ অক্টোবর/এআইএম/ইএস