খড়ের অভাবে বিপাকে গো-খামারিরা

প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০১:২৫

আজহারুল হক, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় গরুর অন্যতম খাদ্য খড়ের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে শাক-সবজির আঁটির মতো বেঁধে খড় বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। চাহিদার তুলনায় খড়ের জোগান কম থাকায় খড় কিনতে অতিরিক্ত টাকা খরচ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের গরুর খামারিরা। 

ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের কাঁচামাটিয়া নদীর পুরাতন সেতুর উপর গেলেই দেখা মিলে খড় বেচাকেনার এমন দৃশ্য। যেখানে উপজেলার দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসা প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকসহ ছোট খামারিদের সংখ্যায় বেশি। খড় কিনতে আসা ক্রেতারা কেউ নিচ্ছে ১০ কিংবা ২০ আঁটি, আবার কেউ ভ্যানগাড়ি নিয়ে পুরো সপ্তাহের খড় সংগ্রহ করছেন। চাহিদার তুলনায় খড়ের জোগান সংকট হওয়ায় খড়ের দাম দ্বিগুণ বলে দাবি ক্রেতাদের।

স্থানীয় খড় বিক্রেতা আব্দুস ছাত্তার বলেন, পাশের উপজেলা কেন্দুয়া থেকে খড়গুলো সংগ্রহ করছি। চাহিদার তুলনায় খড় সংকট থাকায় অনেক বেশি দাম দিয়ে তা সংগ্রহ করতে হয়। যে কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে দাম একটু বেশি নিতে হচ্ছে। প্রতিদিন ৮-১০ হাজার টাকায় খড় বিক্রি করছি। 

খড় ক্রয় করতে আসা জহিরুল হক বলেন, দুটি দুধের গাভী রয়েছে আমার। খড়ের দাম বেশি হওয়ায় গাভী দুটির দুধ বিক্রি করে যে টাকা আসে, তার অধিকাংশই চলে যায় খড় কেনায়।

মোস্তফা মিয়া বলেন, একটা দুধের গাভীসহ ছোটবড় মিলিয়ে আমার চারটি গরু আছে। গাভীটি প্রতিদিন ৩ লিটারের মতো দুধ দেয়। প্রতিদিন প্রায় ১০ আঁটি করে খড় লাগে। 

পৌর এলাকার খামারি সামী উসমান গনি বলেন, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়িত, অন্যদিকে খড়ের দাম দ্বিগুণ হয়েও তা সংগ্রহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে আমাদের মতো ছোট খামারিদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। 

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকসহ খামারিদের উদ্দেশে বলেন, গো-খাদ্যের বিকল্প হিসেবে ঘাস চাষ করতে হবে। উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে উন্নত ঘাস চাষ হচ্ছে। আর সিজনের সময় খড় সংগ্রহ করতে হবে। ওই সময় খড়ের দাম কম থাকে। 

তিনি বলেন, আমন ধান কাটা শুরু হলেই খড়ের দাম কমে যাবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫অক্টোবর/এলএ)