করোনায় শনাক্তের হার ও মৃত্যু কমেছে
প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, গতকালের চেয়ে যা কম। একই সময়ে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়ে আরও ২৮৯ জনের দেহে।
মারা যাওয়া পাঁচজনকে নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮২৮ জন। এছাড়া নতুন শনাক্তদের নিয়ে এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার কমে হয়েছে ১.৩৯ শতাংশ, গতকাল যা ছিল ১.৪৯ শতাংশ।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪১৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৪০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৮৩৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২০ হাজার ৭৭৩টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ২ লাখ ৪২ হাজার ৯২৩টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। প্রতি ১০০ জনে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ২ জন ও নারী ৩ জন। এ সময় ঢাকায় ২, চট্টগ্রামে ২ ও খুলনায় ১ জন মারা গেছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। এরপর কয়েক মাস মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর গত বছরের শেষ দিকে এসে তা অনেকটা কমে যায়। চলতি বছরের প্রথম তিন মাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল করোনা পরিস্থিতি। তবে মার্চের শেষ দিক থেকে দেশে বাড়তে থাকে করোনার প্রকোপ। এটাকে বিশেষজ্ঞরা করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা বলে জানান।
গত এপ্রিল মাস থেকে বাড়তে থাকা করোনার প্রকোপ চরম আকার ধারণ করে জুলাইয়ে। এই মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া দিনে শনাক্তের সংখ্যাও ১৫ হাজার ছাড়ায়। তবে আগস্টের শেষ দিক থেকে করোনার প্রকোপ কমতে থাকে। সেপ্টেম্বর মাস পুরোটাই করোনার প্রকোপ নিম্নমুখী ছিল। অক্টোবরেও তা অব্যাহত রয়েছে।
দেশে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সংস্থাটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে। যেকোনো সময় করোনা আবার জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলেও সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঢাকাটাইমস/২৫অক্টোবর/এমআর