স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১৯:০৭

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক। সোমবার দুপুরে নিজ গ্রামের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার বিলমান্দলা গ্রামের মৃত আয়নদ্দিন ফকিরের ছেলে মো. মোবারক হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে মোবারক হোসেন এক লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, আমি একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং আলফাডাঙ্গা বিআরডিবির নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলাম। অথচ আমার মেয়ের আপন দেবর উপজেলার শিয়ালদী গ্রামের আহম্মেদ হোসেন মোল্যার ছেলে মো. লায়েক মোল্যার ইন্ধনে, পরামর্শে, উসকানিতে আমার বেপারোয়া ও লোভী সন্তানদের এবং পক্ষপাতকারী স্বার্থপর সহধর্মিণীর অত্যাচারে এবং প্রাণের মায়ায় আমার দুই দুইটি বাড়ি থাকার পরও এই বৃদ্ধ বয়সে পালিয়ে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে।

মোবারক বলেন, আমার চার ছেলে ও তিন মেয়ে। আমার বড় ছেলে মো. আরিফুজ্জামান মিটু দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ প্রবাসী ছিল। প্রথম প্রবাসে যাওয়ার সময় আসাদুজ্জামান শান্তর বয়স ৮-১০ বছরের মতো। প্রবাসে থাকাকালীন সে শান্তর লেখাপড়ার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করে তাকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করায়। এমনকি সংসারের যাবতীয় খরচাদি বহন করেছে। পাশাপাশি যেটুকু জমিজমা রাখা হয়েছে তাতেও সবার অংশ রয়েছে।

এত সুবিধা পাওয়ার পরেও আসাদুজ্জামান শান্ত আমার বড় ছেলের বিরুদ্ধে চরম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। আমার অপর ছেলে আশরাফুজ্জামান রঞ্জু ও আনিসুজ্জামান রাজিব শান্তর পক্ষে গিয়ে এবং আমার স্ত্রী মৌলুদা মোবারককে পক্ষে নিয়ে আমার ও আমার বড় ছেলে আরিফুজ্জামান মিটুর বিরুদ্ধে নানা রকম কুকর্মে লিপ্ত হয়।

মোবারক হোসেন বলেন, আলফাডাঙ্গা বাজারে আমার একটি গুদাম ঘর আছে। আমার আরেক ছেলে আশরাফুজ্জামান রঞ্জু গুদাম ঘরটি নিজের করে নেওয়ার জন্য আমার নামীয় সিটি ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখার তিনটি এবং সোনালী ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখার সাতটি চেকের পাতা কৌশলে চুরি করে নিয়ে তাতে বিভিন্ন অংকের টাকা লিখে আমার স্বাক্ষর জাল করেছে।

তারা লায়েক মোল্যার প্রত্যক্ষ সহয়তায় ও আইনি পরামর্শে চেক ডিসঅনার করে আমার নামে দুটি উকিল নোটিস করে হয়রানি করছে। এছাড়াও রঞ্জু আমাকে একাধিকবার মারধর করেছে। পরে উপায়ন্তুর না পেয়ে গত ২০ মে আলফাডাঙ্গা থানায় চেক হারানোর জিডি করি এবং বিজ্ঞ আদালতে আশরাফুজ্জামান রঞ্জুর নামে একটি অভিযোগ করি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আলফাডাঙ্গা থানায় পেনালকোড রুজু হয়।

মোবারক বলেন, ‘এই মামলায় আশরাফুজ্জামান রঞ্জু পলাতক থেকে আমার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পক্ষে নেয় এবং আমার স্ত্রীকে দিয়ে আমার বড় ছেলে মো. আরিফুজ্জামান মিটুর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি সিআর মামলা করায়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

‘মিটু প্রবাসে থাকাকালে শেষ দিকে এসে শান্ত তার স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর নিয়মিতভাবে অত্যাচার করেছে। এছাড়া পারিবারিক বিষয় নিয়ে আমার বৃদ্ধ নিঃসন্তান ভাই সামসুল আলমকে খুন করার উদ্দেশে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখমসহ তাকে পঙ্গু করে ফেলেছে। এছাড়া আমার অপর ছেলে আনিসুজ্জামান রাজিব প্রবাসে থেকে আসাদুজ্জামান শান্ত ও আশরাফুজ্জামান রঞ্জুকে আর্থিক সহয়তা দিয়ে আমার স্ত্রী মৌলুদা মোবারকে আমার পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে। শান্ত আমার বড় ছেলে মিটুর বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা কথা লিখে এবং একটি ভিডিওকে এডিট করে পোস্ট করে বদনাম ছড়িয়ে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে তার ছোট ভাই সামচুল আলম, বড় ছেলে আরিফুজ্জামান মিটু ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতি ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫অক্টোবর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :