আতিকের মেয়র পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

প্রকাশ | ২৬ অক্টোবর ২০২১, ২১:৩৪ | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২১, ২১:৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

জমি দখলের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের পদে থাকা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছেন একজন আইনজীবী।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ভূমি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আবদুর রহিম ও নুরতাজ আরা ঐশীর পক্ষে রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। আইনজীবী নিজেই রিটের বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেন।

রিটে রাজধানীর তেজগাঁও বিজয় সরণি এলাকার কলমিলতা বাজার জবর দখল ও ক্ষতিপূরণ না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না সে মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

রিটকারী মোহাম্মদ আবদুর রহমানের অভিযোগ, এর আগে এক মামলায় ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করেননি মেয়র আতিকুল। প্রয়াত আনিসুল হক মেয়র থাকার সময়ে ওই নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব ২০১৭ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছিলেন।

ঢাকার জেলা প্রশাসক ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রয়োজনে কিছু তথ্য চেয়ে কয়েক দফা ডিএনসিসিকে চিঠি দেন। কিন্তু বর্তমান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৯ সালে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ক্ষতিপূরণের চার হাজার কোটি টাকার পরিবর্তে দুটি চেকে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা ঢাকার ডিসি বরাবর পাঠান। ফেরত চিঠিতে ঢাকার ডিসি ডিএনসিসি মেয়রের পত্রকে ‘দূরভিসন্ধিমূলক ও অনভিপ্রেত’ বলে উল্লেখ করেন।

আবদুর রহিমের অভিযোগ, ‘মেয়র আতিকের লোকজনের প্রভাব বিস্তারের কারণে তার পরিবার লালমাটিয়ার দুটি ফ্ল্যাটের ভাড়া পাচ্ছেন না। এছাড়া সাভারে কলমা মৌজায় নয় বিঘা জমি মেয়র আতিক সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখল করে রেখেছেন।’

পরের সম্পত্তি জবর দখলে রাখা এবং আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে অনীহা প্রকাশ করায় আতিকুল ইসলামের মেয়রের শপথ ভঙ্গ হয়েছে, এজন্য তিনি মেয়র পদে থাকার অধিকার হারিয়েছেন বলে দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়। এজন্য তার মেয়র পদ অবৈধ ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি রিট করিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬অক্টোবর/এআইএম/জেবি)