বলেছেন টেম্বা বাভুমা

ডি ককের ঘটনা পিছিয়ে দিয়েছে প্রোটিয়াদের

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১২:৫৬ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৩:০৪

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

‘বিগ, বিগ নিউজ’ বলে খবরে প্রচারিত হয়েছিল ‘ব্লাক লাইভস ম্যাটার্স’ এ একাত্মতা করতে না পারা কুইন্টন ডি কককে। বোর্ডের হাঁটু গেড়ে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে দেওয়া নির্দেশ মানতেও অস্বীকার করেন প্রোটিয়া এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ থেকেও। তবে তার এমন আপত্তির সিদ্ধান্ত প্রোটিয়াদেরকেই পিছিয়ে দিয়েছেন বলে মনে করেন দলটির অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। 

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিভিন্ন দল। এর আগেও কয়েকবার প্রোটিয়া দল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। তবে দলটিতে রয়েছে ভিন্ন মতের মানুষ। সেটাকে আরো বেশি ফুঁটিয়ে তুলেছে ডি ককের না খেলা। স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে তার ওঠানো আপত্তির কথা জানানোর পরেই নাকি ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাকে দলেও রাখা হয়নি। জানা যায়নি, বিশ্বকাপের অন্য ম্যাচগুলোতে সে খেলবে কিনা সেটাও!

অবশ্য ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম হারের পর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দারুণ এক জয়ে ঘুরে দাড়িয়েছে প্রোটিয়ারা। কিন্তু ডি ককের এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনেকখানি পিছিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন দলটির অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। 

ডি ককের সিদ্ধান্তে বিষ্মিত হয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।

বোর্ডের নির্দেশের পর নিজেকে ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে ডি ককের সরে দাড়ানোকে কিভাবে দেখছেন বা দল হিসেবে আপনাদের কতটা ধাক্কা দিয়েছে, বাভুমাকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি দুই ভাবে কাজ করেছে। তবে অনেক বেশি হতবাক হয়েছিলেন তিনি।

টেম্বা বাভুমা বলেন, ‘সত্যি বলছি, খবরটা যখন প্রথম শুনলাম আমাকে বেশ ধাক্কা দিয়েছিল। আমাদের দলকে পিছিয়ে দিয়েছে খবরটা। কুইনির (ডি কক) মতো একজন এ রকম করেছে, বিশ্বাস হচ্ছিল না। একজন ব্যাটার হিসেবে নয়, একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে দলের মধ্যে ওর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

তবে সতীর্থ ডি কককের সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন বাভুমা্ তিনি বলেন, ‘আমরা যতদূর এসেছি কুইন্টন এখনও আমাদের একজন খেলোয়াড়। সে এখনও আমাদের সতীর্থ। তাই যতটা প্রয়োজন আমরা তাকে সাপোর্ট করবো। সতীর্থদের কাছ থেকে যতটা সমর্থন প্রয়োজন তার জন্য আমরা থাকবো।

(ঢাকাটাইমস/২৭অক্টোবর/এইচএন)