কুমিল্লার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাবি শিক্ষক সমিতির চার সুপারিশ

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২১, ২০:০৬ | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২১, ২২:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কুমিল্লায় পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখাকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিসংতার ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিতে ও ভবিষ্যতে এমন সহিসংতা রোধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে চার দফা সুপারিশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে চার দফা সুপারিশসংবলিত একটি স্মারক লিপি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

কুমল্লা-চৌমুহনীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আক্রান্ত পরিবার, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তারা এই চার দফা সুপারিশ করেছেন।

সুপারিশগুলো হলো-

১. হামলার সময়ে স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তা তদন্ত করা। এ ক্ষেত্রে কারও কোনো অবহেলা কিংবা শিথিলতা থাকলে তা চিহ্নিত করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

২. হামলার ঘটনায় নিহতদের পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত পূজামণ্ডপ, আশ্রম, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

৩. এ ধরনের ঘটনা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বিধায় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচার করা।

৪. ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের নামে যেকোনো সহিংসতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী যেকোনো অপতৎপরতা রোধে সর্বাত্মক সতর্কতা এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা।

স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো নিজামুল হক ভূইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহমেদ, সিন্ডিকেট সদস্য হুমায়ুন কবির, প্রক্টর গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৮ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির একটি দল কুমিল্লা ও চৌমুহনীতে হামলার শিকার পূজামণ্ডপ, মন্দির, আশ্রম, ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

ঢাকাটাইমস/২৭অক্টোবর/কারই